চেন্নাই: তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বদল আসন্ন?  ও পনিরসেলভমের বদলে ভিকে শশীকলা মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন বলে প্রবল জল্পনা চলছে। সরকারি ভাবে কিছু না বলতে চাইলেও ক্ষমতাসীন এআইএডিএমকে-র একটি সূত্র নেতৃত্ব বদলের  সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে। শাসক দলের মুখপাত্র সি আর সরস্বতীও এ প্রসঙ্গে কিছু বলতে নারাজ। শুধু বলেছেন, আগামীকাল বেলা দেড়টা নাগাদ হয়তো এ ব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাতে পারব।
কাল দুপুরেই এখানে বৈঠকে বসছেন এআইএডিএমকে বিধায়করা। সেখানেই দলের সাধারণ সম্পাদক শশীকলাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদের ভার হাতে তুলে নিতে তাঁরা সমস্বরে আবেদন জানাতে পারেন বলে খবর। বেশ কিছুদিন ধরেই দলে শশীকলাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদের দায়িত্ব নিতে হবে বলে ক্রমশঃ দাবি উঠছে। কালকের বৈঠকে তা জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জয়ললিতার মৃত্যুর পর দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয় তাঁকে। এবার মুখ্যমন্ত্রিত্বও তাঁর হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা। বস্তুত গত ডিসেম্বরে আম্মার মৃত্যুর পর থেকেই দাবি উঠতে থাকে, পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও মুখ্যমন্ত্রীর পদ একই লোকের হাতে থাকার রীতি মেনে দুটি দায়িত্বই পালন করুন শশীকলা। লোকসভার ডেপুটি স্পিকার এম থাম্বিদুরাই সমেত অনেকেই শশীকলাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর দাবিতে সওয়াল করেন। গতকালই শশীকলা পার্টির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করেছেন। কয়েকজনকে কয়েকটি পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্তও ঘোষণা করেছেন। অর্থাত দলের রাশ নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন তিনি।


রাজনৈতিক মহলের খবর, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত জয়ললিতার জন্মদিনে নিজের রাজনৈতিক পরিকল্পনা ঘোষণা করতে চলেছেন তাঁর ভাগ্নী দীপা জয়কুমার। এআইএডিএমকে বিধায়কদের একাংশের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। তিনি যাতে কোনও চ্যালেঞ্জ হতে না পারেন, সেজন্যই আগেভাগে মুখ্যমন্ত্রী পদে শশীকলাকে বসানোর প্ল্যান তাঁর অনুগামীদের।

প্রসঙ্গত, আটের দশক থেকেই জয়ললিতার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ শশীকলা। দলের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁর নজর থাকলেও জয়ললিতার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এআইএডিএমকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও পদ ছিল না তাঁর।