ওয়াশিংটন: সায়েন্স-চিফ (science chief) হিসেবে প্রথম কোনও মহিলাকে নিয়োগ করতে চলেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। এ ব্যাপারে নিকোলা ফক্স নামে (Nicola Fox) এক বিজ্ঞানীর নাম শোনা যাচ্ছে। সংস্থা সূত্রে খবর, 'পার্কার সোলার প্রোব মিশন'-র প্রাক্তন উচ্চপদস্থ ওই গবেষককে সায়েন্স-চিফ পদে বেছে নেওয়া হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে সূর্যের নানা গতিপ্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করেছেন নিকোলা। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে নাসার সায়েন্স মিশন ডিরেক্টরেটের অ্যাসোসিয়েট অ্য়াডমিনিস্ট্রেটর ঘোষণা করা হতে পার বলে খবর।


আর কী...
প্রতি বছর প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের বাজেট বরাদ্দ থাকে নাসার সায়েন্স ডিরেক্টরেটের জন্য। মঙ্গল গ্রহে হারানো প্রাণের খোঁজে রোবটচালিত প্রযুক্তি পাঠানো থেকে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে দূরের ছায়াপথের খোঁজ, সবটাই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এই ইউনিটের তত্ত্বাবধানেই হয়ে থাকে। এই সমস্ত দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও-র খোঁজ দিতে, তাদের গতিবিধি নির্ণয় করতে মার্কিন সেনাবাহিনীকেও সাহায্য করবেন নিকোলা। আরও নির্দিষ্ট করে বললে এই উদ্দেশ্যে গত বছর যে নাসার স্টাডি গ্রুপ তৈরি হয়েছিল, সেটির দেখভাল করবেন তিনি। নিকোলার আগে সায়েন্স চিফের দায়িত্ব সামলেছেন টমাস জুরবুখেন।২০১৬ সাল থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন মার্কিন-সুইস জ্য়োতির্পদার্থবিদ। তাঁর অবসরের পর অস্থায়ী ভাবে সায়েন্স চিফ হিসেবে সান্দ্রা কনেলি ওই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এবার সেখানেই আসার কথা নিকোলার। এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা হয়নি। তবে চলতি সপ্তাহেই তাঁর নাম ঘোষণা হতে পারে বলে খবর। আপাতত জল্পনা ঘিরেই তোলপাড় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অন্দরমহল। 


নাসার হাতে কীসের খোঁজ?
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিই মঙ্গলের মাটিতে অভিযান চালানোর সময় কিউরিওসিটির ক্যামেরায় ধরা পড়ে পাথরের গায়ে ছোট ছোট ঢেউ খেলানো দাগ। যেন জলের উপর ঢেউ খেলে গিয়েছে। বিস্তৃত জায়গা জুড়ে এমন পাথর ছড়িয়ে, সেটাই ক্যামেরাবন্দি করেছে রোভারের ক্যামেরা। তাতেই সাড়া পড়ে যায় পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের মধ্যে। কারণ তাঁদের একটি বড় অংশ মনে করেন, এই ঢেউ খেলানো দাগ আসলে বহুযুগ আগে মঙ্গলের মাটিতে জল থাকার বড়সড় প্রমাণ। NASA সূত্রে খবর, এই ঢেউ খেলানো দাগ মঙ্গল গ্রহে Mount Sharp-এর পাথুরে মাটিতে পাওয়া যায়। Curiosity বহু পাথুরে জমির উপর দিয়ে গিয়েছে, পরীক্ষা করেছে, ছবি তুলেছে। কিন্তু এর আগে এত স্পষ্ট দাগ দেখতে পাওয়া যায়নি বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। 


আরও পড়ুন:মা উড়ালপুলে সেভেন পয়েন্টের কাছে ফের দুর্ঘটনা