সুরাত: ঋতুচক্র চলছে না, নিশ্চিত হওয়ার জন্য গুজরাতের ভূজে মেয়েদের কলেজের হস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জোর করে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খোলানোর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল হয়েছে। তার মধ্যেই এবার আরেক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সুরাত পুর নিগমের (এসএমসি) ১০ জন ট্রেনি মহিলা ক্লার্ককে পুরসভা পরিচালিত হাসপাতালের গাইনোকলজি ওয়ার্ডে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নগ্ন অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানা গেল। সুরাতের পুর কমিশনার বাঞ্ছানিধি পানি তিন সদস্যের কমিটি গড়ে এই অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ১৫ দিনে রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি।
এসএমসি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের দাবি, এমনকি অবিবাহিত মহিলাদেরও সন্তানসম্ভবা কিনা, পরীক্ষা করানো হয়েছে মহিলা ডাক্তারদের দিয়ে। গতকাল সুরাত মিউনিসিপাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ।
পুর নিগমের কর্তারা জানিয়েছেন, নিয়মমাফিক সব ট্রেনি কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ পর্ব শেষে শারীরিক ভাবে ফিট প্রমাণ করতে শারীরিক পরীক্ষা করাতে হয়। এটা বাধ্য়তামূলক। গতকাল তিন বছরের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য কয়েকজন মহিলা ট্রেনি ক্লার্ক পরীক্ষার জন্য় ওই হাসপাতালে আসেন। তারা বাধ্যতামূলক পরীক্ষার বিরোধী নয়, তবে গাইনোকলজি বিভাগে ওঁদের ওপর যে পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে, তা ঠিক নয় বলে জানিয়েছে ইউনিয়ন। অভিযোগনামায় ইউনিয়ন বলেছে, ট্রেনি মেয়েদের এক এক করে ডাকার পরিবর্তে মহিলা ডাক্তাররা দশজনকেই একসঙ্গে ঘরে ঢুকিয়ে বস্ত্রহীন অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখেন। এটা বেআইনি, অমানবিক। প্রতিটি মহিলাকে আলাদা করে পরীক্ষা করা উচিত। এভাবে সবাইকে একযোগে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করা নিন্দনীয় ব্যাপার।
পরীক্ষার সময় মহিলা ডাক্তারদের গর্ভাবস্থা নিয়ে অদ্ভূত প্রশ্নেও মহিলা ট্রেনিরা বিব্রত বোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শেখ। তিনি বলেছেন, গর্ভাবস্থা নিয়ে ডাক্তারদের ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা বন্ধ হওয়া উচিত। তাছাড়া ওই ট্রেনিদের মধ্যে অবিবাহিত মেয়েদেরও শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, তারা সন্তানসম্ভবা কিনা। অন্য মহিলাদের সামনে তাদের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলা হয়েছে এভাবে। মেডিকেল পরীক্ষার সময় মহিলাদের মান-সম্মানের কথা খেয়াল রাখা দরকার।
সুরাতের মেয়র জগদীশ পটেল দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ইস্যুটা খুবই সিরিয়াস।