তবে ম্যাচ ছাপিয়ে শুক্রবার শিরোনামে উঠে এল ঋদ্ধিমান সাহাকে বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক। শুক্রবার প্রথম একাদশে বঙ্গ উইকেটকিপারের জায়গায় সুযোগ দেওয়া হয় দিল্লির ঋষভ পন্থকে। টিম ম্যানেজমেন্টের ইঙ্গিত, ব্যাটিং দক্ষতায় এগিয়ে থাকার জন্যই ঋষভকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কারণ, অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতো দেশে টেস্ট সেঞ্চুরি রয়েছে দিল্লির বাঁহাতির। পাশাপাশি, নিউজিল্যান্ডে পিচে অসমান বাউন্স না থাকায় উইকেটকিপারের কাজটা তুলনামূলকভাবে সহজ। তাই ব্রাত্য ঋদ্ধি।
যদিও কোহলি-রবি শাস্ত্রীদের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। সমালোচনার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে যেমন। কড়া ভাষায় ঋদ্ধির বাদ পড়ার ঘটনার নিন্দা করেছেন তিনি। ট্যুইট করেছেন, ‘ঋদ্ধিমান সাহা বাদ! আমরা এইমাত্র দেশের সমস্ত উইকেটকিপারকে কিপিং দক্ষতার চেয়ে ব্যাট হাতে রান করায় মনোনিবেশ করার বার্তা দিলাম। খুবই হতাশাজনক।’
তবে পন্থকে নিয়ে যে তাঁর কোনও আপত্তি নেই, জানিয়েছেন হর্ষ। লিখেছেন, ‘আমাকে ভুল বুঝবেন না। পন্থকে নিয়ে কিছু বলছি না। শুধু ভাবুন টেস্টে আমাদের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান, সেরা চার বোলার ও সেরা উইকেটকিপারকে খেলানো হয়। অথচ ব্যাটিং অর্ডারের ছ নম্বরের জন্য সাধারণ দক্ষতার কাউকে বাছা! আশা করছি পন্থ ভাল খেলবে কারণ ও ভীষণ প্রতিভাবান। তবু ঋদ্ধির জন্য খারাপ লাগছে।’
পাশাপাশি হর্ষ ট্যুইট করে বলেন যে, কোনও বড় কনসার্ট থেকে শ্রেয়া ঘোষালকে যদি বাদ দেওয়া হয় অন্য কেউ একটু ভাল গিটার বাজাতে পারে বলে, ঠিক এরকমই অনুভূতি হবে! তবে কয়েকঘণ্টা পরে সেই ট্যুইটটি মুছে দেন হর্ষ। তাঁর মতো অনেকেই ঋদ্ধিকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।