নয়াদিল্লি: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার প্রায় তুঙ্গে। সব দলই নিজেদের প্রচারে ব্যস্ত। প্রত্যেক দল নিজেদের অ্যাজেন্ডা মোতাবেক প্রচারে জোর দিচ্ছে। বিজেপি যেমন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জির সমর্থনে নিজেদের সর্বশক্তি লাগিয়ে দিয়েছে। আর এই প্রেক্ষিতে, সিএএ-এনআরসির প্রতিবাদে শাহিনবাগের আন্দোলনকে বারংবার আক্রমণ করেছে কেন্দ্রের শাসক দল। বুধবার যেমন করলেন দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক তরুণ চুঘ। শাহিনবাগের আন্দোলনকে তিনি আইএস-এর সঙ্গে তুলনা টানলেন।
তিনি জানান, তাঁর দল রাজধানীকে সিরিয়া হতে দেবে না। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, শাহিনবাগের আন্দোলনকারীরা রাস্তা বন্ধ করে দিল্লিবাসীদের মনে ভয় ঢোকাতে চাইছে। প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে দিল্লির জামিয়া নগরের শাহিনবাগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। শাহিনবাগের আন্দোলনরতদের অধিকাংশই মহিলা। এই আন্দোলনের ফলে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির সঙ্গে নয়ডার সংযোগকে কার্ত রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। যার জেরে প্রতিদিনের যাতায়াতের সমস্যায় জেরবার নিত্যযাত্রীরা।
ট্যুইটারে তরুণ বলেন, আমরা দিল্লিকে সিরিয়া হতে দেব না। আমরা এখানে ওদের আইসিস-এর মতো মডিউল চালাতে দেব না, যেখানে মহিলা ও শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে।  ওরা প্রধান রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে দিল্লিবাসীর মনে ভয় সঞ্চার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তা হতে দেব না। আমরা দিল্লিকে পুড়তে দেব না।





এর আগে বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মাও শাহিনবাগের প্রতিবাদ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, সিএএ-প্রতিবাদীরা একদিন ঘরে ঢুকে মহিলাদের ধর্ষণ ও খুন করতে পারে। তাঁর দাবি, কাশ্মীরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা দিল্লিতেও হতে পারে। যে সকল মানুষ শাহিনবাগে জমায়েত হয়েছে, তারা বাড়িতে ঢুকে আপনার বোন ও কন্যাদের ধর্ষণ ও হত্যা করতে পারে। মানুষকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
পশ্চিম-দিল্লির বিজেপি সাংসদ যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য দেশবাসী নিজেদের নিরাপদ মনে করেন। কিন্তু, এই পরিস্থিতি তৈরি হলে, তিনিও সম্ভবত তাঁদের বাঁচাতে পারবেন না।