কিভ: যে দাপটের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করেছিল রাশিয়া (Russia Ukraine War), তার ধারেকাছেও এখন তারা নেই বলে দাবি সামনে আসছিলই। এ বার একদিনে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সাক্ষী থাকল রাশিয়া (Russian Troops)। রবিবার যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের প্রায় ১ হাজার সৈনিক মারা পড়েছে বলে দাবি করল ইউক্রেন। বিগত আট মাসের যুদ্ধে একদিনে এত সংখ্যক প্রাণহানি রাশিয়া দেখেনি বলে দাবি করল কিভ।


সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিনের সাক্ষী রইল রাশিয়া!


খেরসন-সহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বের অংশ রাশিয়ার হাত থেকে উদ্ধার করতে উদ্যত হয়েছে ইউক্রেন। তাতে রবিবার বিরাট সাফল্য মিলেছে বলে দাবি সে দেশের সরকারের। তাদের দাবি, রবিবার ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে রাশিয়ার ৯৫০ জন সৈনিক মারা গিয়েছেন। তাতে এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে নিহত রুশ সৈনিকের সংখ্যা ৭১ হাজার ২০০-তে গিয়ে ঠেকল বলে দাবি তাদের।


এ নিয়ে ইউক্রেনীয় সংবাদমাদমাধ্যম এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে কার্যতই ছত্রভঙ্গ দেখিয়েছে রুশ সৈনিকদের। মাথা বাঁচিয়ে পালাতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। একটি ট্যাঙ্কে চেপে কয়েক জন সৈনিকক পালানোর চেষ্টা করলেও, রাস্তায় ট্যাঙ্কটি উল্টে যেতে দেখা গিয়েছে। যদিও ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।


আরও পড়ুন: Bank Rule Change: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ওপেনিং ও সিম কার্ড তোলার ক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ি, আসছে নতুন নিয়ম


ইউক্রেনের প্রতিরোধের মুখে পড়ে রুশ বাহিনী ছত্রখান বলে দাবি করেছে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও। গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে তারা জানিয়েছে, এখনও সেনা মোতায়েন করে চলেছে রাশিয়া। তবে যুদ্ধের সরঞ্জাম তেমন নেই তাদের কাছে। এমনকি ইউক্রেন যেতে বাধ্য হলেও, বহু সৈনিককে বিনা অস্ত্রেই যেতে হচ্ছে বলে সেপ্টেম্বর মাসে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রুশ সেনার এক আধিকারিকও।


একদিনে প্রায় ১ হাজার রুশ সৈনিকের মৃত্যু!


গত সপ্তাহে সঙ্কটজনক পরিস্থিতির কথা মেনে নেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভও। তবে মস্কোর তরফে চেষ্টায় ত্রুটি নেই বলে জানান তিনি। শুধু তাই নয়, সৈনিকের জোগান দিতে মাত্র ১০ থেকে ২৫ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়েই রুশ সৈনিকদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হচ্ছে বলেও দাবি সামনে এসেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনে তরফে। এর মধ্যে, গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শারীরিক অবস্থা। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত, হাত পা অবশ হয়ে পড়ছে বলেও দাবি সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার রাশিয়ার পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে। তবে পশ্চিমি দেশগুলির সহায়তায় রাশিয়ার সামনে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে ইউক্রেন।