ঢাকা: ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ছক কষার দায়ে ১০ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল বাংলাদেশের একটি আদালত। একই মামলায় আরও ৯ জনকে ২০ বছরের কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।


২০০০ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম গোপালগঞ্জে হাসিনার গ্রামের বাড়ি লাগোয়া খোলা মাঠে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক কষেছিল দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১৯ জন।


ওই দিনই হাসিনার সেখানে একটি জনসভা করার কথা ছিল। তবে, সভার আগেই বোমাটি উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করে নিরাপত্তাবাহিনী। ফলে, অল্পের জোরে রক্ষা পান প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।


তদন্তে উঠে আসে, নিষিদ্ধ হরকত-উল-জেহাদি-ইসলামি (হুজি) প্রধান মুফতি হান্নান এই ঘটনার প্রধান কুচক্রী। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ হাই-কমিশনারকে হত্যার ঘটনায় চলতি বছরের গোড়ায় ফাঁসি হয় হান্নানের।


হাসিনাকে হত্যার চেষ্টার মামলায় মোট হান্নান সহ মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল আদালত। ৯ জনকে ২০ বছর কারাবাস ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। চারজনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে।


এদিন রায় দিতে গিয়ে ঢাকার দ্বিতীয় স্পিডি ট্রায়াল ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুমতাজ বেগম জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্তদের হয় ফাঁসি দেওয়া হবে না হলে গুলি করা হবে।


প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হলে, হাইকোর্টের অনুমতি প্রয়োজন। এদিন আদালত কক্ষে ৮ দোষী সাব্যস্ত উপস্থিত ছিল। এই রায়কে চ্যালেঞ্জও করতে পারবে তারা।


এদিকে, শেখ হাসিনার ওপর আরেকটি হত্যার চেষ্টার মামলার শুনানিও প্রায় শেষ হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৪ সালে। সেই সময় হাসিনা বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন।


অভিযোগ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি একটি গোষ্ঠীই এই হামলার নেপথ্যে দায়ী। বিএনপি নেতা তথা খালেদা জিয়ার ছেলে তারিক রহমান এই মামলায় মূল অভিযুক্ত।


হামলায় হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচলেও, ২৩ জন মারা গিয়েছিলেন। মামলার রায় চলতি বছরের শেষে বের হতে পারে।