জেরুজালেম: কোনও পরিস্থিতিতেই কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থন করবে না ইজরায়েল। এমনই জানিয়ে দিলেন সেদেশের সরকারি কর্তারা। আমেরিকান জিউইশ কমিটির উদ্যোগে ইজরায়েল সফরে গিয়েছেন ভারতের সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদরা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাশ্মীর প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ইজরায়েল সরকার।


ভারতের পক্ষে ইজরায়েলের এই মনোভাব অত্যন্ত ইতিবাচক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ভারতের সঙ্গে একযোগে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেও, কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাক বিরোধ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেনি ইজরায়েল। তবে এবার কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে দিল ইজরায়েল।

ন’য়ের দশকে ইজরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ভারত। ২০০৩ সাল থেকে পাকিস্তানকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু করে ইজরায়েল। তবে সে বছরই ইজরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারত সফরে আসেন অ্যারিয়েল শ্যারন। সেই সময় অবশ্য ইজরায়েল কাশ্মীরের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। সম্প্রতি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইজরায়েল সফরে যান নরেন্দ্র মোদী। তখনও কাশ্মীর প্রসঙ্গে দু দেশের প্রধানমন্ত্রীই কোনও কথা বলেননি। কিন্তু এখন ইজরায়েল সরকারের কর্তারা বলছেন, কাশ্মীরে যে পরিস্থিতিই তৈরি হোক না কেন, পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে না ইজরায়েল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মুম্বই ও পঠানকোট হামলার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গিদের বিচারের পাশাপাশি লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার ইজরায়েলও কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে থাকার কথা জানিয়ে দিল। তবে চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সংঘাত নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয় ইজরায়েল।