করাচি/পেশোয়ার: পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের দিনও বিভিন্ন জায়গা থেকে হিংসা-বিস্ফোরণের খবর আসছে। বালোচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা শহরে একটি পোলিং বুথের বাইরে শক্তিশালী আত্মঘাতী বিস্ফোরণে পাঁচ পুলিশকর্মী ও দুই নাবালক সহ অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম অন্তত ৩০ জন। খাইবার পাখতুনখাওয়ার সোয়াবি জেলায় একটি পোলিং বুথের বাইরে আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টির কর্মীদের সঙ্গে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। দু’দলের কর্মীরাই একে অপরের দিকে গুলি চালাতে থাকেন। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের এক কর্মীর মৃত্যু হয় এবং দু’জন জখম হন। দিঘরি অঞ্চলে একটি পোলিং বুথের বাইরে গুলিতে জখম হয়ে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লারকানা অঞ্চলে একটি রাজনৈতিক দলের শিবিরের কাছে বোমা ফেটে চারজন জখম হয়েছেন।


কোয়েটার ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ আধিকারিক ইজাজ গোরায়া জানিয়েছেন, ‘কোয়েটার ইস্টার্ন বাইপাসের কাছে ওই পোলিং বুথে ঢোকার চেষ্টা করছিল আত্মঘাতী জঙ্গি। কিন্তু অনেক নিরাপত্তারক্ষী থাকায় সে বুথে ঢুকতে না পেরে বাইরেই একটি পুলিশ ভ্যানের কাছে বিস্ফোরণ ঘটায়। ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং জখম অবস্থায় ৩২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

নির্বাচন উপলক্ষে দেশজুড়ে ৩,৭০,০০০ জওয়ান মোতায়েন করেছে পাক সেনাবাহিনী। এছাড়া ৪,৫০,০০০ পুলিশকর্মীও মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও হিংসা রোখা যায়নি। কোয়েটার ডিআইজি আবদুল রজ্জাক চিমার কনভয়ও আক্রান্ত হয়েছে। ডিআইজি অবশ্য নিরাপদেই আছেন বলে জানা গিয়েছে।

পিএমএল-এন প্রধান শাহবাজ শরিফ আত্মঘাতী বিস্ফোরণের নিন্দা করে বলেছেন, ‘মানুষ যখন ভোট দেওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করছেন, তখন কোয়েটায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় পুলিশ আধিকারিক সহ নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু এবং জখম হওয়ার খবর হৃদয়বিদারক। শোকস্তব্ধ পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানাই।’

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খানও সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা করে বলেছেন, ‘পাকিস্তানের শত্রুরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটানোর লক্ষ্যেই কোয়েটায় নিন্দনীয় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে। নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু দুঃখজনক। পাকিস্তানিদের ভোট দিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের পরাস্ত করতে হবে।’

পাকিস্তানে আজ সকাল আটটা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। ৮৫ হাজারেরও বেশি বুথে ভোটপর্ব চলছে। সন্ধে ৬টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এরপরেই শুরু হবে গণনা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জানা যাবে ফল।