ইসলামাবাদ:  দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানে। আজ সেদেশের ১১ তম সাধারণ নির্বাচন। ১৯৭০ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয় পাকিস্তানে।


 

নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে বিভিন্ন দলকে চূড়ান্ত নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। আজকের নির্বাচনে ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং পাকিস্তান পিপিলস পার্টির মধ্যে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, ক্ষমতা দখলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ইমরান খানের পিটিআই এনং নওয়াজ শরিফের দাদা শাহবাজ শরিফ পরিচালিত পিএমএলএন-এর মধ্যে। এছাড়া পাকিস্তান পিপিলস পার্টির তরফে লড়ছেন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তবে কোনও দলই যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তাহলে বিলাওয়ালের পিপিপি-র সমর্থন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে। কারণ, বিলাওয়ালের দলের সমর্থনে পাকিস্তানে সরকার গড়বে কে সেটা নির্ধারিত হবে।

আজ সকাল সাড়ে আটটার সময় ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে পাকিস্তানে, চলবে সন্ধে সাড়ে ছটা পর্যন্ত। ৮৫ হাজার পোলিং বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলেই বুথে বুথেই শুরু হবে গণনা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফল ঘোষণা করা হবে।




তবে দেশের সাম্প্রতিক অস্থির পরিস্থিতি এবং জঙ্গি হানার কথা বিবেচনা করে পাক প্রশাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। এবারে পাক নির্বাচনে বিশেষ নজরে রয়েছেন ভারতের মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের ছেলে হাফিজ তালহা সইদ এবং জামাই খালিদ ওয়ালিদ। এঁরা দুজনেই এবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা ছাড়া মোট ২৬০ জন্য প্রার্থী রয়েছেন যাঁরা আল্লা-ও-আকবর-তহরিক দলের হয়ে নির্বাচন লড়ছেন।




এদিকে ইমরান পরিচালিত পিটিআই কিছুটা হলেও এই নির্বাচনে লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন। কারণ, পাক সেনার আড়াল থেকে সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের জন্যে। এছাড়া ইমরানের ভাবমূর্তি, তাঁর চ্যালেঞ্জই দলকে অন্যদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে রেখেছে।