ঢাকা : গত মাসে কেঁপে উঠেছিল  পশ্চিমবাংলার মাটি, আর ডিসেম্বরের শুরুতে কাঁপল বাংলাদেশ। পড়শি দেশে ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫.৮। জানা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল কুমিল্লা থেকে ৪৮ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে। উৎসের গভীরতা ছিল মাটি থেকে ৫৫ কিলোমিটার নীচে। কম্পন অনুভূত হয়েছে উত্তরবঙ্গেও। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।






এর জেরে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে খবর । উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ারেও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। 


এর আগে ৮ নভেম্বর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৩.৬।


অন্যদিকে কেঁপে উঠছে লাদাখও।  শনিবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে লাদাখের মাটিতে কম্পন অনুভূত হয়। সেখানে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৩.৪। কম্পনস্থলের উৎস মাটি ১০ কিলোমিটার নীচে বলে জানিয়েছে National Center for Seismology ।


 






এর আগে ৩ নভেম্বর  দিল্লি-NCR-এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়, কেঁপে ওঠে কলকাতাও।  রাত ১১.৩৯ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপাল, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। কেঁপে ওঠে উত্তরভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা - উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশ। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভূকম্পন অনুভূত হয় কলকাতাতেও।


ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন, উত্তর থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত, গুজরাটের বিস্তীর্ণ অংশ, এদেশের অনেকটাই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে। শতাংশের হিসেবে যা অর্ধেকেরও বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পপ্রবণ ও মৃদু ভূমিকম্পপ্রবণ জোনের মধ্যেই পড়ে কলকাতা। হিমালয়ের মুকুট পরে থাকা বাংলায়, ভিনরাজ্যের কম্পনেও এরাজ্যে পায়ের তলার মাটি কাঁপতে পারে। বলছেন ভূবিজ্ঞানীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ম মেনে নগরায়ন, মাটির ধারণক্ষমতা-সহ একাধিক বিষয়ের ওপর জোর না দিলে ভবিষ্যতে বিপদ রোখা যাবে না।      


আরও পড়ুন- বিধায়কের বিয়ে, কন্যাদান করলেন মন্ত্রী ! কিন্তু মিস্ হয়ে গেল হানিমুন


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।