ওয়াশিংটন: আধার প্রযুক্তিতে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ভয় নেই। আধারের মাধ্যমে নাগরিকের তথ্য বেহাত হতে পারে, ক্ষুন্ন হওয়ার বিপদ রয়েছে, ভারতে নানা মহলের এহেন দাবি, শঙ্কার মধ্যেই বললেন বিল গেটস। আধার কোনওভাবেই গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে না, তা শুধুমাত্র বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে পরিচিতি খতিয়ে দেখার একটি স্কিম, অভিমত তাঁর।


৬২ বছর বয়সি এই কোটিপতি শিল্পোদ্যোগী ও সমাজসেবী জানিয়েছেন, তাঁর বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন আধার প্রকল্পটি অন্যত্র কার্যকর করার জন্য বিশ্বব্যাঙ্ককে অর্থ দিয়েছে। ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নিলেকানি আধার রূপায়ণের ব্যাপারে বিশ্বব্যাঙ্ককে পরামর্শ দিচ্ছেন, সাহায্য করছেন।
প্রসঙ্গত, আধারের মূল রূপকার নিলেকানিই। আধার অন্য দেশেও চালু করার মতো উপযোগী কিনা, প্রশ্ন করা হলে গেটসের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া, মৌলিক পরিচয়পত্র আধার বিরাট উপকার করবে।

এপর্যন্ত সারা দুনিয়ায় আধারই পরিচিতি প্রমাণের সবচেয়ে বড় বায়োমেট্রিক সিস্টেম। ইতিমধ্যেই অসংখ্য ভারতবাসীকে এতে নাম তুলতে হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে গেটস বলেন, আধার প্রকল্পটি অন্য দেশগুলিতেও চালু হওয়া উচিত কারণ প্রশাসনের গুণমান অনেকটাই নির্ভর করে কত দ্রুত তারা অর্থনীতির উন্নতি ঘটিয়ে জনগণের ক্ষমতায়ন করতে পারবে, তার ওপর।
ভারতের আশপাশের কয়েকটি দেশ সহ নানা দেশ এ ব্যাপারে নয়াদিল্লির সহায়তা চেয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
গেটস বলেন, আধার প্রয়োগের ক্ষেত্রে দেখার ব্যাপার এটাই যে, কী কী তথ্য মজুত রাখা হল এবং কাদের তা পাওয়ার সুযোগ আছে। শুধু সুনিশ্চিত করতে হবে যে, সেই তথ্য সুরক্ষিত, ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে তার। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে এটা খুব ভাল করে দেখা হচ্ছে বলে মনে হয় আমার। অ্যাকাউন্ট খুলতে আধার তথ্যে মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দুটোই পাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার আগেই আধার প্রকল্প শুরু হয় বলে জানিয়ে গেটস বলেন, ওনার কৃতিত্ব এখানেই যে উনি সেটি সানন্দে কার্যকর করছেন।

পাশাপাশি গেটস বলেন, আমি নন্দন নিকেলানির বন্ধু ও গুণমুগ্ধ দুই-ই, ডিজিটাইজেশনের বেশ কিছু উদ্যোগও সমর্থন করি যাতে প্রশাসন চালানোর উপযোগী শিক্ষা মেলে।