নয়া দিল্লি: পাকিস্তানের বন্দর শহর গোয়াদারে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে একাধিক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সংবাদসংস্থার খবরে জানা গিয়েছে চিনের নাগরিকদের লক্ষ্য করেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ গোয়াদার বন্দরের ইস্ট বে রোডে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় দুই শিশু নিহত হয়েছে এবং তিনজন আহত হয়েছে।


পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তইরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, এই হামলায় এক চিনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই বিস্ফোরণে দুই শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। গাড়ির চালক-সহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। 


বালুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র লিয়াকত শাহওয়ানি টুইট করে জানিয়েছেন, "গোয়াদারে চিনা নাগরিকদের গাড়িতে এই আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যে সময় বিস্ফোরণটি হয়, তখন কাছাকাছি খেলতে গিয়ে ২ জন শিশু মারা যায় এবং একজন চিনা নাগরিক সামান্য আহত হয়েছে।"


দ্য বেলুচিস্তান পোস্টের আরেকটি প্রতিবেদনে অবশ্য দাবি করা হয়েছে যে বিস্ফোরণে নয় জন চিনা নাগরিক নিহত হয়েছে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের একটি সড়কের নির্মাণ স্থানের কাছে এই বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়। চিনা ইঞ্জিনিয়ারদের একটি কনভয়কে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও সিটিডি দল। ঘটনায় বালোচ যোদ্ধারা জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান। তবে এখনও পর্যন্ত হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।    


এর আগে খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশে এক বাসে বিস্ফোরণে নয়জন চিনা নাগরিক এবং আরও চারজন লোক নিহতের খবর সামনে এসেছিল। পাকিস্তানের উত্তর-পঞ্চিমাঞ্চলে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ৯ চিনা ইঞ্জিনিয়ারের। পাকিস্তানে আর্থিক করিডর প্রকল্পে কাজ করছিলেন তাঁরা। সেই সময় এই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে দল পাঠিয়েছিল বেজিং। এই ঘটনার পর সমস্ত চিনা নাগরিকদের সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।