নয়া দিল্লি: আফগানিস্তানের জালালাবাদ দখলের পরই কাবুল দখল করে তালিবান। প্রেসিডেন্টের বাসভবনে তালিবানদের সঙ্গে ৪৫ মিনিটের বৈঠক শেষে পদত্যাগ করেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। পদত্যাগের পরই আফগানিস্তান ত্যাগ করেছেন তিনি, এমনটাই খবর ছিল। আর এরপরই আফগানিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে এসেছেন সে দেশের বেশ কয়েক জন সাংসদ ও সরকারি আধিকারিকেরা। 


ভারত সরকার জরুরি বিমান পাঠিয়ে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীর C-17 গ্লোবমাস্টার সামরিক পরিবহন বিমানকে ব্যবহার করছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আফগানিস্তানের উন্নয়নের ওপর নজর রাখছে ভারত। কাবুলে অবস্থিত ভারতের দূতাবাস থেকে ভারতীয় নাগরিকদের পাশাপাশি তার কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার সহ সব ধরনের ব্যবস্থা প্রস্তুত করছে।


সূত্রের খবর, ভারত তাঁর কর্মীদের জীবন এবং কাবুলে নাগরিকদের জীবনকে কোনো ঝুঁকিতে ফেলবে না। তাঁদের জরুরিকালীন ভিত্তিতে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হলে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সূত্রের তরফে এও জানান হয় ভারত সরকার আফগানিস্তানের সব পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। 


তবে এখনও এ বিষয়ে মোদি সরকারের তরফে সরকারি কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে, আশরফ গনি দেশ ছাড়়তেই প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখল নিল তালিবান। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে, কাবুল শহরের ঠিক বাইরেই কারাবাঘ এলাকায় তালিবানি আক্রমণের জেরে জখম হয়েছেন ৪০ জনের বেশি।


এদিকে, গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে যুদ্ধের পিছনে ২ লক্ষ ২৬ হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে আমেরিকা। এর মধ্যে শুধুমাত্র আফগান সেনাকে প্রশিক্ষণ দিতেই খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। রিপোর্ট বলছে, আমেরিকার সেনার ২ হাজার ৪৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে আমেরিকায়। গুরুতর জখম হয়ে ফিরেছেন ২০ হাজার ৬৬৬ জন। এত কিছুর পরও তালিবানি শক্তিকে রুখতে 'ব্যর্থ' হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রেক্ষাপটে জো বাইডেনের দেশ অবিলম্বে তাঁদের নাগরিক-কূটনীতিকদের সে দেশ থেকে ফিরিয়ে আনছে। নষ্ট করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথি। বন্ধ করা হয়েছে দূতাবাসও। 


আগামী দিনে আফগানিস্তানের ভবিষ্যত কী হতে চলেছে সেই দিকেই এখন তাকিয়ে বিশ্বের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহল।