কাবুল:  ফের দুর্যোগ আফগানিস্তানে। কাবুল বিমানবন্দরে রাডার অকেজো থাকায় আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল আফগানিস্তানে আটক ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, কাবুল ছাড়ার আগে মার্কিন সেনা বহু বিমান ও সামরিক সরঞ্জাম অকেজো করে দিয়ে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার সিস্টেম। 


এর ফলে বিমান ওঠানামা পুরোপুরি বন্ধ। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাডার কার্যকর করার চেষ্টা চলছে। রাডার চালু না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বাণিজ্যিক উড়ান চলাচল। অন্যদিকে, মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়লেও, প্রয়োজনে সেখানে ফের ড্রোন হামলা চালানো হবে। আইএস খোরাসানকে হুঁশিয়ারি দিল পেন্টাগন। 


কাবুল হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনার মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করে পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনও ধরনের হামলার মোকাবিলা করা হবে। আইএস খোরাসানকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুঁশিয়ারি, তোমাদের শিক্ষা দেওয়া এখনও শেষ হয়নি। যারা আমেরিকার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, তাদের খুঁজে বের করে আমরা মারব, এর জন্য তোমাদের চরম মূল্য চোকাতে হবে। 


এদিকে, দোহায় আফগানিস্তান সরকারের সম্ভাব্য বিদেশমন্ত্রী শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন কাতারে ভারতের রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল। নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের দ্রুত দেশে ফেরানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তালিবানের অনুরোধে দোহাতে ভারতীয় দূতাবাসে দুপক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়, এমনটাই খবর। 


অন্যদিকে, তালিবান কবে সরকার গঠন করবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে জল্পনা চলছে, আফগানিস্তানে সরকার গঠনে ইরানের মডেল অনুসরণ করতে পারে তালিবান। সেক্ষেত্রে সর্বেসর্বা হবেন সুপ্রিম লিডার। সেই পদে দেখা যেতে পারে তালিবান প্রধান হিবাতুল্লাহ্ আখুন্দজাদাকে। প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন আবদুল গনি বরাদর কিংবা মোল্লা ইয়াকুব।


২০ বছরের যুদ্ধে ইতি টেনে, আফগানিস্তান ছেড়েছে আমেরিকা। দেশটা এখন তালিবানের হাতের মুঠোয়। ১৫ অগাস্ট কাবুলের পতনের পর ২ সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। আফগানিস্তানে এখনও নতুন সরকার গঠন করেনি তালিবান। আগামী সপ্তাহে এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে তালিবানি থিঙ্কট্যাঙ্ক।