কাবুল: আফগানিস্তানের প্রায় অধিকাংশ এলাকাই দখল করেছে তালিবানরা। ব্যতিক্রম কেবল পঞ্জশির। সে এলাকা এখনও দখল করতে পারেনি তালিবান। যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছিল সেখানে বলা হয় পঞ্জশির উপত্যকায় তালিবান যোদ্ধা এবং নর্দান অ্যালায়েন্সের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। নর্দান অ্যালায়েন্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বঘোষিত কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ ও আহমেদ মাসুদ। শেষ পর্যন্ত পঞ্জশির দখলে ব্যর্থ হল তালিবান।
পিপল রেজিস্ট্যান্স ফোর্সের প্রতিরোধের মুখে আটকে গেল বাঘলানের আন্দারাবে। সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পঞ্জশিরে ঢুকতে না পেরে নিরীহ শিশু, মহিলাদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে তালিবান। পরে অস্ত্র-সহ আত্মসমর্পণ করে তালিবান বাহিনী।
পঞ্জশির আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বে হিন্দুকুশের কোলের এক উপত্যকা।উত্তরে বাগলান ও তাখর প্রদেশ। পূর্বে বাদাকশন ও নুরিস্তান,লাঘমান ও কাপিসা দক্ষিণে, পশ্চিমে পারওয়ান। এই পরিস্থিতিতে চারপাশ থেকে পঞ্জশির ঘিরে ফেলার কৌশল নেয় তালিবান। নর্দান অ্যালায়েন্সের প্রতিরোধে এখনও পঞ্জশির দখলের স্বপ্ন অধরা তালিবানের।
শনিবার রাতেই তালিবান যোদ্ধারা পৌঁছে যায় বাগলান প্রদেশের আন্দারাবে। তালিবানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পাল্টা নর্দান অ্যালায়েন্সের নেতা আহমেদ মাসুদ জানান, আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আমি। আত্মসমর্পণ শব্দটা আমার অভিধানে নেই। প্রতিরোধ সবে শুরু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাই হল, পঞ্জশির দখলে ফের ব্যর্থ হল তালিবান। পঞ্জশিরে ঢোকার মুখে বাগলানের আন্দারাবে তালিবান বাহিনীকে রুখে দিল পিপল রেজিস্ট্যান্স ফোর্স। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভৌগলিক অবস্থানগত কারণেই এবারও পঞ্জশির দখল করতে পারল না তালিবান।
কাবুল থেকে আকাশপথে পঞ্জশিরের দূরত্ব ১০২ কিমি। কিন্তু কাবুল থেকে পঞ্জশিরে পৌঁছতে গেলে সড়কপথে যেতে হয় ২৬৩ কিমি। যেতে হয় বাগলান হয়ে। আর ঠিক সেখানেই তালিবানকে আটকে দিয়েছে বিরোধী জোট। তবে সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জনের মৃত্যু এবং বহু আহত হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পঞ্জশিরে ঢুকতে না পেরে নিরীহ শিশু, মহিলাদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে তালিবান। শেষ পর্যন্ত বিরোধী জোটের প্রত্যাঘাতে পিছু হঠে অস্ত্র-সহ আত্মসমর্পণ করে তালিবান বাহিনী।