কাবুল: আফগানবাসীকে শীঘ্রই সুখবার্তা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস সে দেশের ক্ষমতাসীন তালিবানের (Taliban)। ক্ষমতাদখলের পর মেয়েদের শিক্ষার অধিকারের আশ্বাস দিয়েছিল তারা। যদিও যত সময় এগিয়েছে, একে একে সব অঞ্চলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়েছে। এ বার তালিবান জানাল, শীঘ্রই মেয়েদের হাইস্কুলে যাওয়ায় অনুমতি দেওয়া হবে। তবে তালিবান আধিপত্যের বিরোধিতা করেেন যাঁরা, সেই সব 'নচ্ছার' মেয়ের ঘরবন্দি হয়ে থাকাই উচিত বলে মত তালিবান নেতৃত্বের (Afghan Women)।


মেয়েরা স্কুলে ফিরবে আফগানিস্তানে!


আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী তথা তালিবান নেতা সিরাজউদ্দিন হাক্কানি জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই মেয়েদের হাইস্কুলে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু তালিবান জমানায় বর্তমানে বাড়ির বাইরে পা রাখারই সাহস পাচ্ছেন না মেয়েরা। তা নিয়ে প্রশ্ন করলে সিরাজউদ্দিন বলেন, "নচ্ছার মেয়েদের বাড়িতেই রাখি আমরা।"


'নচ্ছার' বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন জানতে চাইলে সিরাজউদ্দিন বলেন, "নচ্ছার বলে আসলে রসিকতা করেছি। আমাদের সরকার ফেলতে প্রতিপক্ষ শিবির যাঁদের নিয়ন্ত্রণ করছে, আসলে তাঁদেরকেই বোঝাতে চেয়েছি।"


আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রীয় তদন্তকারী সংস্থা FBI-এর অপরাধী তালিকায় নাম রয়েছে সিরাজউদ্দিনের। আমেরিকার বিদেশ বিভাগ তাঁকে 'আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী' হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছে ১ কোটি ডলার। 


আরও পড়ুন: Organ Donation: ছ’বছর বয়সে অঙ্গদান, নিজের মৃত্যু দিয়ে পাঁচ জনকে পুনর্জীবন একরত্তির


মেয়েদের শিক্ষা সংক্রান্ত প্রশ্নে সিরাজউদ্দিন বলেন, "মেয়েদের স্কুলে যাওয়া পুরোপুরি বন্দ করা হয়নি। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত আগের মতোই স্কুলে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। তার উপরের ক্লাসগুলির জন্য কিছু উপায় বার করা হচ্ছে। উপরওয়ালার আশীর্বাদ থাকলে খুব শীঘ্রই সুখবার্তা পাবেন আপনারা। "


দীর্ঘ দু'দদশক পর আপগানিস্তানে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই নিজেদের উদার বলে দেখানোর প্রচেষ্টায় দেখা গিয়েছিল তালিবান নেতৃত্বকে। সেই সময় মেয়েদের শিক্ষার অধিকার, বোরখা পরাকে ঐচ্ছিক করার সপক্ষে সওয়াল করতে শোনা গিয়েছিল তাঁদের। কিন্তু তার পর যত সময় এগোতে থাকে, একে একে হিলজুুতো পরা, লিপস্টিক লাগানো, জোরে কথা বলা, পুরুষসঙ্গী ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখা এমনকি স্কুলে যাওয়াও নিষিদ্ধ হয় আফগান মেয়েদের। 


আফগান মেয়েদের জন্য নানা বিধিনিষেধ তালিবানের


হিজাব নিয়ে প্রশ্ন করলে সিরাজউদ্দিন বলেন, "আমরা হিজাপ পরার জন্য কাউকে জোর করছি না। হিজাব বাধ্যতামূলক নয়। তবে ইসলামিক সংস্কৃতির অঙ্গ, তা চালিয়ে যাওয়াই উচিত সকলের।" ষষ্ঠ শ্রেণির ঊর্দ্ধে সব মেয়েদের মার্চ মাসেই স্কুলে ফেরার কথা ছিল সেখানে। কিন্তু শরিয়ৎ এবং আফগান রীতি-সংস্কৃতী অনুযায়ী, উপযুক্ত ইউনিফর্ম ঠিক না হওয়া পর্যন্ত, তা স্থগিত করে দেওয়া হয়।