নয়াদিল্লি: কানের মঞ্চেও রাশিয়া-ইউক্রেন লড়াইয়ের প্রসঙ্গ। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে (Cannes Film Festival) বক্তব্য রাখলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelensky)। চলচিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। হঠাৎ করেই তাঁর রেকর্ড করা ভিডিও বার্তা দেখানো হয়, অনুষ্ঠানের মঞ্চে।
কী বললেন তিনি:
সিনেমা শিল্পের মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia Ukraine) যুদ্ধের বিরোধিতা করার ডাক দিলেন ভোলোদিমির জেলেনস্কি। একনায়ক থাকলেই যুদ্ধ হবে, স্বাধীনতার যুদ্ধ হবে, সিনেমা কি এর বাইরে থাকতে পারে, প্রশ্ন জেলেনস্কির।
প্রসঙ্গ চার্লি চ্যাপলিন:
বক্তব্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে সিনেমার কথা তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তুলে ধরেন চার্লি চ্যাপলিনের প্রসঙ্গও। ১৯৪০ সালে মুক্তি পেয়েছিল চার্লি চ্যাপলিনের বিখ্যাত সিনেমা দি গ্রেট ডিক্টেটর (The Great Dictator)-এর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন জেলেনস্কি। ওই সিনেমায় অ্যাডলফ হিটলারকে কটাক্ষ করা হয়েছিল। গোটা সিনেমাটি যেন বিশ্ব জুড়ে চলা যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। যা এখনও তাই। সেই সিনেমার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ভোলোদিমির জেলেনস্কি। আর এর জন্যই এখন বিশ্বের একজন চার্লি চ্যাপলিনকে প্রয়োজন। তাহলেই প্রমাণ করা যাবে সিনেমা শিল্প এখনও চুপ করে যায়নি, বক্তব্যে বলেন জেলেনস্কি। তাঁর বক্তব্যের পর উপস্থিত সকলেই দাঁড়িয়ে সম্মান জানান।
ইউক্রেনের জন্য়:
এবছর কান ফিল্ম ফেস্টিভ্য়ালের ৭৫ তম বর্ষ। যুদ্ধ এ বছরের অন্যতম থিম। ইউক্রেনের চলচিত্র নির্মাতাদের জন্য একটি বিশেষ দিনও ধার্য করা হয়েছে। এবার কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হবে লিথুয়ানিয়ার চলচিত্র পরিচালক মানতাস কেভেদারাভিসিয়াস ( Mantas Kvedaravicius)-এর ডকু ছবি মারিউপলিস ২ (Mariupolis 2)। রাশিয়ান বাহিনীর হামলায় তিনি মারা গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
এর আগে গ্র্যামি পুরস্কারের মঞ্চেও বক্তব্য রেখেছিলেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনের মসনদে বসার আগে তিনিও ছিলেন একজন অভিনেতা। প্রাক্তন কৌতুক অভিনেতা ভোলোদিমির জেলেনস্কি এসেছেন রাজনীতিতে। পদে এসেই এতবড় যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশকে।