নয়াদিল্লি: কাবুলের দখল নেওয়ার পর এবার আফগানিস্তানে ভারতের একাধিক দূতাবাসে হানা দিল তালিবান জঙ্গিরা। কাবুল ছাড়াও কন্দহর, মাজার এ শরিফে ভারতীয় দূতাবাসে হানা দেয় তালিবান।  ভিতরে ঢুকে সবকিছু তছনছ করে তারা। যদিও সূত্রের খবর, এরকমটা ঘটতে পারে তা আঁচ করেই দূতাবাস খালি করার আগে সব নথিপত্র কর্মীরা ভারতে ফিরিয়ে আনেন।  বাকি কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়ে আসা হয়।  


সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, কন্দহর, হেরাটে ভারতীয় দূতাবাসে পার্ক করে রাখা কয়েকটি গাড়িও তালিবান নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ভারতীয় দূতাবাসগুলি তালিবানের এই হানাদারির খবর গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। 


এর আগে চলতি সপ্তাহের গোড়ায় বলা হয়েছিল যে, তারা তাদের লোকজনদের অন্য দেশগুলির ফাঁকা দূতাবাসগুলিতে ঢুকতে নিষেধ করেছে।সেইসঙ্গে ওই দেশগুলির দূতাবাসের গাড়ি সহ অন্যান্য জিনিসপত্র অপব্যবহারও না করতে বলা হয় বলে জানিয়েছিল তালিবান।কিন্তু এরপরও যা ঘটনা ঘটল, তা তালিবানের কথায় ও কাজে ফারাকের বিষয়টি আরও আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। 


আফগানিস্তানে ভারতের চারটি দূতাবাস রয়েছে। এরমধ্যে কন্দহর, হেরাট ও মাজার এ শরিফে দূতাবাস খালি করা হয়েছে। আফগানিস্তানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার কাজের সমন্বয়ের জন্য কাবুলের কনস্যুলেট খোলা রয়েছে। স্থানীয় কর্মীদের সাহায্য তা খোলা রয়েছে।  


কাবুল বিমানবন্দরের মাধ্যমে ভারত উদ্ধার করে নিয়ে আসার অভিযান চালাচ্ছে। গত মঙ্গলবারই সেখান থেকে ১২০ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।  যদিও আরও অনেক ভারতীয়ই আফগানিস্তানে আটকে পড়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিদেশমন্ত্রক। 


তালিবান আফগানিস্তানে দখল নেওয়ার আগেই ভারতীয় বায়ুসেনা সেখানকার একটি শহর থেকে ৫০ ভারতীয়কে ফিরিয়ে এনেছিল। এর কিছু সময়ই উত্তর আফিগানিস্তানের ওই শহর তালিবানদের দখলে চলে যায়।


গত ১১ অগাস্ট হিন্ডন এয়ারবেস থেকে উড়ে গিয়েছিল বায়ুসেনার বিমান। এরপর নিরাপদে ভারতীয় কনস্যুলেটের সদস্য ও আইটিবিপি কর্মীদের মাজার এ শরিফ কনস্যুলেট থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিল। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এ কথা জানানো হয়েছে। তারপর থেকে ভারতীয় বায়ুসেনা তাজিকিস্তানের মতো পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে এয়ারবেস ব্যবহার করে আফগানিস্তানে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার কাজ চালাচ্ছে। এই উদ্ধার অভিযানে সমন্বয় সাধন ও ভারতীয়দের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিদেশ মন্ত্রক স্পেশ্যাল আফগানিস্তান সেল গঠন করেছে।