নয়া দিল্লি: ১৮ বছর পর ইজরায়েলে ক্ষমতায় ফিরলেন প্রবীন ইজরায়েলি নেতা (Israel Leader) বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। পার্লামেন্টে নতুন সরকারের প্রতি আস্থা ভোট পাশ করার পর নেতানিয়াহু শপথ নেন। ১ নভেম্বর নেতানিয়াহু সেদেশে সরকার গড়ার মতো সমর্থন পেয়েছেন। ডানপন্থী সরকারকে নেতৃত্ব দিয়ে ষষ্ঠবারের মতো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি।
ইজরায়েলের গোঁড়া ইহুদি পার্টি এবং কট্টর-দক্ষিণপন্থীরাও সমর্থন করেছে নেতানিয়াহুকে। ৭৩ বছরের পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ ফের প্রধানমন্ত্রী পদে আসতে চলেছেন। সেদেশের পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়ারিভ লেভিন একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় নেসেট-এর এক বিশেষ অধিবেশনে সরকার গড়ার জন্য ভোটাভুটি। মঙ্গলবার নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি একটি নতুন সরকার গড়েছেন। তিনি ক্ষমতায় ফিরছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ইজরায়েলের রাজনৈতিক ইতিহাসে সর্বাধিক দক্ষিণপন্থী জোট হতে চলেছে।
আরও পড়ুন, মোদির যাত্রাপথে নীল-সাদা কাপড়ের আচ্ছাদন, 'ঝুপড়ি ঢাকতেই পর্দা' কটাক্ষ বিজেপির
এর আগে নেতানিয়াহু প্রথম দফায় ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২০০৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বারো বছর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নেতানিয়াহুর দক্ষিণপন্থী লিকুদ পার্টি সেদেশের চরমপন্থী গোঁড়া পার্টি এবং কট্টরপন্থীদের সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়ছে। জোট সরকারে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী হিসেবে জায়গা পেতে চলেছেন ইতামার বেন গিভির এবং গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে চলেছেন বেজালেল স্মোত্রিচ। আরয়েহ দেরি-কেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রস্তাব দিয়েছেন বলে একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। এর মধ্যে স্মোত্রিচ অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের প্রবল সমর্থক। তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পশ্চিম তীরের প্রশাসনিক ক্ষমতাও হাতে পেতে পারেন।
নেতানিয়াহু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রায় দুই মাস ধরে তাঁর জোটসঙ্গীদের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। তাঁদের সমর্থনে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তার আগেই পরবর্তী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন ইজরায়েলের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিদ। তিনি এই নতুন আইনি সংশোধন বা পরিবর্তনের পর বলেছেন যে নতুন সরকার শপথ নেওয়ার আগেই ‘এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ সরকার বলে প্রমাণিত হয়েছে।