বেজিংসীমান্ত সংঘাতের জের। আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে প্রস্তাবিত বৈঠক বাতিল করল বেজিং। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি বৈঠকের অনুকূল নয়।


জার্মানির হামবুর্গ শহরে বসছে জি-২০ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ভারত ও চিনের রাষ্ট্রপ্রধানরা। আগে ঠিক ছিল, সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠকে অংশ নেবেন মোদী ও শি।


কিন্তু, কূটনৈতিক মহলের মতে, সিকিম সেক্টরে দুদেশের মধ্যে চলতি সীমান্ত সংঘাতের ফলে সম্পর্কে সাময়িক শীতলতা এসেছে। যার প্রভাব পড়েছে প্রস্তাবিত বৈঠকে। তবে জানা গিয়েছে, এই সম্মেলেনের ফাঁকে ব্রিকস-গোষ্ঠীভূক্ত দেশগুলির বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দুজনই।


এদিন চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে বৈঠক বাতিল করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে মোদী ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতি নেই।


প্রসঙ্গত, ভুটানের কাছে ডোকালামের আধিপত্য নিয়ে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চিন সেখানে সড়ক নির্মাণ করতে গেলে ভারত বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেছে বেজিং।


ভারতের আপত্তিকে মান্যতা দিয়ে চিনকে অবিলম্বে সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করতে বলে ভূটানও। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় বেজিং। ভারতের দাবি, চিনা জওয়ানরা ২টি অস্থায়ী ভারতীয় সেনা ছাউনি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।


পাল্টা চিন দাবি করে, ভারতীয় সেনা ডোকালামে আগ্রাসন ঘটিয়েছে। এমনকী, ভারতকে অবিলম্বে ডোকালাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বলে। যদিও, ভারত জানিয়ে দিয়েছে, ডোকালাম ভুটানের। সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্নই নেই। কারণ, চুক্তি অনুযায়ী, ভুটানকে সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দেওয়ার কথা ভারতের।