চাঁপাইনবাবগঞ্জ(বাংলাদেশ) : মাঝ পদ্মায় উল্টে গেল নৌকা। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে চার জনের মৃত্যু এবং ১১ জন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে। ওই নৌকায় প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর অন্তত ২০ জনকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সন্ধে পর্যন্ত অবশ্য বাকিদের উদ্ধার করা যায়নি। সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ উদ্ধারকাজ থামিয়ে দেওয়া হয়।


এক আধিকারিক জানান, নৌকাটি পাকর বোগলৌরি থেকে দশরশিয়া ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনায় রক্ষা পাওয়া যাত্রী সাবের আলি প্রামাণিক জানান, দশরশিয়া এলাকায় হাটের দিন ছিল। নৌকায় আলু, নারকেল ইত্যাদি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এর পাশাপাশি ছিল একাধিক সাইকেল, যাত্রী। ভারী হয়ে যাওয়ায় এনিয়ে আপত্তি জানান যাত্রীরা। কিন্তু, জেলে কোনও কথা শোনেননি। যদিও দুরুল হুড়া নামে এক জন বলেন, বাতাস বইছিল। নদীতে তীব্র স্রোত ছিল। 


প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অতিরিক্ত ওজনের জন্যই নৌকাটি উল্টে গেছে। মৃত চার জনকে শনাক্ত করা গেছে। তাঁরা হলেন, নীলুফা বেগম(৫০), মৈশা খাতুন(৫), আসমৌল(৫) ও আয়েশা (৩)। 


এদিকে ঘটনাটি নিয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি ফরিদ হোসেন বলেন, প্রচুর মাল ও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল নৌকাটি। তাই ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। বিজিও ও দমকল বিভাগ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বলে তিনি জানান। 


এর আগে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি যাত্রীবাহী নৌকার সঙ্গে বালিবোঝাই ট্রলারের ধাক্কায় অন্তত ১৯ জনের সলিলসমাধি হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজনগর উপজেলার তিতাস নদী সংলগ্ন লইস্কা বিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাটি চম্পকনগর ঘাট ছেড়ে যায়। সেখান থেকে সদর উপজেলার আনন্দবাজার ঘাটের দিকে যাওয়ার সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বালিবোঝাই ট্রলারটির সঙ্গে নৌকাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। নৌকাটির পিছনে আবার অন্য একটি বালিবোঝাই ট্রলার ছিল। সেটিও নৌকাটিকে ধাক্কা মারে। ফলে নৌকাটি উল্টে যায়।