কলকাতা : বাংলাদেশে শীতলক্ষ্যা ভয়াবহ লঞ্চডুবি। ইতিমধ্যেই উদ্ধার ৬ মৃতদেহ। আরও বাড়বে মৃতর সংখ্যা, বলে আশঙ্কা। নিখোজ বহু।


বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি লঞ্চ ডুবে যায় মালবাহী জাহাজের ধাক্কা লেগে। যাত্রীবাহী লঞ্চটিতে ছিলেন ৫০ এরও বেশি জন।  তলিয়ে যান বহু জন। ইতিমধ্য়ে উদ্ধার ৬ জনের দেহ। যদিও মৃতর সংখ্যা এখানেই থামবে না, বলেই আশঙ্কা উদ্ধারকারী দলের।  ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে চর সৈয়দপুর এলাকায়। নারায়ণগঞ্জ সদর নৌথানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান,  দুপুর ২ টো নাগাদ বিরাট একটি জাহাজের ধাক্কা খেয়েই এমএল আফসার উদ্দিন নামের লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চটি যাচ্ছিল মুন্সীগঞ্জের দিক। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অনেকেই আবার সাঁতরে উঠতে পেরেছেন। তবে বেশিরভাগই পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে লঞ্চডুবির দৃশ্য। সেখান থেকেই ধারণা, বহু যাত্রীই ডুবন্ত জাহাজ থেকে বের হতে পারেননি। 


 





বিবিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণগঞ্জের জেলাশাসক মোহাম্মদ মনজুরুল হাফিজ জানিয়েছেন, উদ্ধার হয়েছে ৬টি মৃতদেহ। নদীর তলায় জাহাজটি কোথায় আছে, সেই অবস্থান চিহ্নিত করা গিয়েছে। বাকিদের উদ্ধার করতে যাচ্ছে একটি জাহাজ। বহু দেহ লঞ্চটির ভেতরেই আটকে থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। উদ্ধার কাজ শুরু করেছে নৌ পুলিশ, দমকল বিভাগ ও বিআইডব্লিউটিএ । 


অন্য এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আরও বেশ কয়েকজন যাত্রীর ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ফেরির ভেতরে আটকা পড়ে থাকতে পারেন। ভিডিও ফুটেজ, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে , তাতে দেখা গিয়েছে, ছোট ফেরিটি একটি বিশাল পণ্যবাহী জাহাজের সামনে এসো পড়ো। যার ধাক্কায় লঞ্চটি দ্রুত ডুবে যায়।


ফেরি থেকে প্রায় ২0 জন যাত্রীকে লাফিয়ে পড়তে দেখা গেছে এবং কেউ কেউ সাঁতরে তিরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন বা কাছাকাছি থাকা নৌকো দ্বারা উদ্ধার করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তখনই আশেপাশে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে অভিযান শুরু করে এবং পরে তাঁদের সঙ্গে উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা যোগ দেয়।


গত বছরের জুনে ঢাকায় একটি ফেরি অন্য একটি জাহাজের সাথে সংঘর্ষের পর ডুবে যায়, এতে কমপক্ষে ৩২ জন মারা গিয়েছিলেন।