হাসিনা বলেন, মায়ানমারকে আমরা বলেছি, ওরা আপনাদের নাগরিক, ওদের ফিরিয়ে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় দিন। ওদের ওপর কোনও অত্যাচার, নিগ্রহ হওয়া উচিত নয়।
মায়ানমারকে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বোঝাতে বাংলাদেশ কূটনৈতিক প্রয়াস চালাচ্ছে বলেও জানান হাসিনা। কিন্তু মায়ানমার সরকার তাতে সাড়া দিচ্ছে না, বরং রোহিঙ্গাদের নিজেদের ঘরে ফেরার পথে বাধা দিতে সীমান্তে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মায়ানমারের অঘোষিত সর্বময় কর্ত্রী আউন সান সু কি অবশ্য কয়েক ঘন্টা আগেই জানিয়েছেন, বৈধ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে। বাংলাদেশ থেকে তাদের দেশে বেআইনি অনুপ্রবেশ করেছে দাবি করে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে নারাজ মায়ানমার।
ইসলামিক দেশগুলির এক বৈঠকেও হাসিনা রোহিঙ্গাদের 'বাঙালি' তকমা দেওয়ার জন্য সরকারি মদতে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
বাংলাদেশে সরকারি বিএসএস নিউজ এজেন্সির খবর, হাসিনা মুসলিম দেশগুলির কাছ থেকে 'জরুরি মানবিক ত্রাণ' চেয়েছেন যাতে 'জাতিগত নির্মূলীকরণ' (এথনিক ক্লিনজিং) থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চলে আসায় তৈরি পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। তিনি বলেন, অবর্ণনীয় মানবিক দুর্দশা। ওদের কাছে গিয়ে বিশেষ করে মহিলা, শিশুদের ভয়াবহ দুঃখ, কষ্টের কাহিনি শুনেছি। আমি বলব, বাংলাদেশে এসে মায়ানমারে ওদের ওপর হওয়া নিগ্রহের কথা শুনুক সবাই।