ঢাকা: শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Sheikh Hasina) ফের রেকর্ড মার্জিনে জিতে প্রধানমন্ত্রী পদে ফেরার পর ও ভারতে একদিনের বিশ্বকাপ চলাকালীন বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল 'বয়কট ইন্ডিয়া' (boycott India) আন্দোলন। মূলত বিএনপি-সহ বিরোধী নেতা-নেত্রীরা এবং আমেরিকা এবং বিদেশে থাকা বিভিন্ন বাংলাদেশিরা এই আন্দোলনের পিছনে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বয়কট ইন্ডিয়া স্লোগান তোলা ও এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষদের তীব্র আক্রমণ করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। বেশ কয়েকমাস চুপ থাকার পর মুখ খুললেন এই বিষয়ে। প্রতিবাদ জানিয়ে পরিষ্কার বললেন, "বয়কট ইন্ডিয়ার স্লোগান যাঁরা তুলছেন তাঁরা আগে নিজেদের বাড়িতে থাকা ভারতের শাড়ি (Indian saris) পোড়ান ও রান্নায় প্রতিবেশী দেশের মশলা (spices) ব্যবহার করা বন্ধ করুন। তারপর এই আন্দোলনের সঙ্গে থাকুন বা এর পিছনে মদত দিন।"


ভারতে বিশ্বকাপ চলার সময় ও শেখ হাসিনা ফের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর সেদেশের বিএনপি-সহ বিরোধী নেতারা বাংলাদেশে ভারত বিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে চাইছিলেন। ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সহানুভূতি কুড়োতে চাইছিলেন। যার শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে চতুর্থবার বসার পর থেকে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকমাস চুপ থাকার পর অবশেষে বিরোধীদের বয়কট ইন্ডিয়া আন্দোলনকে তীব্র আক্রমণ করলেন হাসিনা। নিজের অত্যন্ত পছন্দের ভারতীয় শাড়ি নিয়েই আক্রমণ করলেন বিরোধীদের। 


বিরোধীদের অভিযোগ, হাসিনা ও তাঁর আওয়ামি লিগ (Awami League) দল নিজেদের ভারত ঘনিষ্ঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে এবং জানুয়ারিতে হওয়া সাধারণ নির্বাচনে ভারতের সাহায্য় নিয়ে জয়লাভ করেছে। তাই আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভারতীয় পণ্য বয়কট করার আবেদন জানান।


দীর্ঘদিন এই বিষয়ে চুপ থাকার পর বিএনপি (BNP) নেতৃত্বকে আক্রমণ করে বয়কট ইন্ডিয়ার বিষয়টি একটি ভিত্তিহীন ও হাস্যকর ব্যাপার বলে দাবি করলেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি নানা বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে ভারতকে অত্যন্ত ভালো ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে দাবি করেন। পাশাপাশি গত সপ্তাহে বিএনপি নেতৃত্বকে আক্রমণ করে তাদের মদতেই বাংলাদেশে ভারত বিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। ঢাকাতে অবস্থিত আওয়ামি লিগের অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কটাক্ষ করে বলেন, "যাঁরা ভারতীয় পণ্য বয়কটের স্লোগান তুলছেন তাঁরা আগে নিজেদের বাড়িতে উঁকি দিয়ে দেখুন যে তাঁদের স্ত্রীরা কটা ভারতীয় শাড়ি ব্যবহার করেন। বাড়িতে হওয়া রান্নায় কতগুলো ভারতীয় মশলা ব্যবহার হয় তার খোঁজ নিন। তারপর ভারতীয় পণ্য বয়কট করার ডাক দিন। তার আগে এই আন্দোলনে যুক্ত হওয়া বা মদত দেওয়া মানে দ্বিচারিতা করা। যে বিএনপি নেতারা এই আন্দোলনে মদত দিচ্ছেন আগে তাঁরা নিজেদের দলীয় অফিসের সামনে স্ত্রীদের কাছে থাকা ভারতীয় শাড়ি পোড়ান। তাহলেই একমাত্র প্রমাণিত হবে যে তাঁরা ভারতীয় পণ্য বয়কটের বিষয়ে আন্তরিক।" 


আরও পড়ুন: Israel Hamas War:নেতানইয়াহুর পদত্যাগ চেয়ে রাস্তায় তেল আভিভ-জেরুজালেমের মানুষ, আক্রমণ জারি গাজায়


: