ঢাকা: জেলবন্দি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিরাশ করে সেদেশের এক শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, ২ বছরের বেশি জেলে থাকা কেউ ভোটে লড়তে পারবেন না। এর ফলে খালেদার ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা বিলীন হয়ে গেল। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবেই আলম সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, দুটি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনপি) চেয়ারপার্সন খালেদা পরের মাসে নির্ধারিত একাদশ সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তিনি ভোটে লড়ার বৈধতা হারিয়েছেন।
দু বছরের ওপর জেল খাটা লোকজন, তাঁদের আবেদন আদালতের বিবেচনাধীন থাকলেও নির্বাচনে লড়তে পারবেন না বলে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার কয়েক ঘন্টা বাদে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এ কথা জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
প্রয়াত স্বামী তথা প্রধানমন্ত্রী জেনারেল জিয়াউর রহমানের নামে তৈরি হওয়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দুটি ঘুষের মামলায় জেল খাটছেন ৭৩ বছর বয়সি খালেদা।
ঢাকার বিশেষ আদালত গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের কারাবাসের সাজা দেওয়ার পর থেকেই হেফাজতে আছেন খালেদা। ট্রাস্টের নামে আসা ২১ মিলিয়ন বাংলাদেশি টাকা (২৫২৫০৪ মার্কিন ডলার) আত্মসাতের অভিযোগে দোষী ঘোষিত হন প্রবীণ নেত্রী। ৩০ অক্টোবর জেলবাসের মেয়াদ দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১০ বছর করে হাইকোর্ট।
আবার ২৯ অক্টোবর নিম্ন আদালত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদাকে দোষী ঘোষণা করে সাত বছরের কারাবাস, ১ মিলিয়ন বাংলাদেশি টাকা জরিমানা ধার্য্য করে।
অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৮ নভেম্বরের আগে খালেদা ছাড়া পেলেও ভোটে লড়া সম্ভব হবে না কেননা সংবিধানই তাঁকে অনুমতি দেবে না, তাঁকে নির্বাচনে লড়তে মুক্তির পর আরও ৫ বছর অপেক্ষায় থাকতে হবে।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে, কোনও ব্যক্তির দু বছর বা তার বেশি কোনও ফৌজদারি অপরাধে কারাবাস হলে ছাড়া পাওয়ার পর ৫ বছর কেটে না গেলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না।