নয়াদিল্লি :  Shanghai Cooperation Organization (SCO) meeting - এ সৈকত শহর গোয়ায় আসছেন  বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Foreign Minister Bilawal Bhutto Zardari) । সেই উপলক্ষ্যে পাকিস্তান সৌহার্দ্যের চিহ্নস্বরূপ ৬০০ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁদের দুই দেশের মধ্যে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক করা হয়েছিল।


কবে মুক্তি ?                    


রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০ জন মৎস্যজীবীর একটি দলকে ১২ মে মুক্তি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এবং বাকি ৪০০ জনকে ১৪ মে মুক্তি  দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপটিকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসাবে দেখছে কূটনৈতিক মহল।            

তবে উভয় দেশে বিদেশী বন্দিদের সময়মতো মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট ব্যবস্থা বা নীতি নেই। যার জন্য অনেক বন্দিদের সাজা পূর্ণ করার পরেও সাজা ভোগ করছে।


বর্তমানে ৭০৫ জন ভারতীয় নাগরিক পাকিস্তানের জেলে বন্দি, যার মধ্যে ৬৫৪ জন জেলেই রয়েছেন। একইভাবে, মোট ৪৩৪ পাকিস্তানি ভারতীয় হেফাজতে রয়েছে, যার মধ্যে ৯৫ জন জেলে বন্দি বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন : 


শনিবার কারা সতর্ক থাকবেন ? কেমন যাবে আজকের দিন ?


প্রেক্ষাপট


এই মৎস্যজীবীদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে গত ১ মে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (National Commission for Human Rights - NHCR ) চেয়ারপারসন রাবিয়া জাভেরী আঘা কারাবন্দি জেলেদের মুক্তির জন্য ক্যাম্পেন শুরু করেছিলেন। এনএইচসিআর তার প্রচারাভিযানের সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চুক্তির উল্লেখ করে এবং দাবি করে যে দুই দেশ এঁদের মুক্তির জন্য আলোচনার জন্য  সময়সূচী নির্ধারণ করুক।         


উভয় দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার সরকারের কাছে জেলেদের জন্য 'নো-অ্যারেস্ট' নীতির দাবি জানিয়েছে। আবেদনে বলা হয়, এদের মুক্তি দিলে উভয় দেশের  কারাগারেরই বোঝা কমবে এবং বন্দিদের পরিবারকে  স্বস্তি দেবে।                 


মুক্তিপ্রাপ্ত জেলেদের ওয়াঘা সীমান্তে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ইধি ফাউন্ডেশন মুক্তিপ্রাপ্ত ২০০ জনকে সড়কপথে লাহৌরে নিয়ে যাবে এবং পাক সরকার প্রত্যেক মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় জেলেকে ৫ হাজার টাকা, খাদ্য সামগ্রী এবং উপহার দেবে। এই পদক্ষেপটি মানবাধিকার সংস্থাগুলির দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।