কাবুল: আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর আশঙ্কা। বিস্ফোরণের পরেই বিমানবন্দরের বাইরে এলোপাথাড়ি গুলি। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিন মার্কিন সেনা আধিকারিক সহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫২ জন।


কাবুল বিমানবন্দরের গেটের বাইরে বিস্ফোরণ। আগেই কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের আশঙ্কা করেছিল পেন্টাগন। সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করেই বিস্ফোরণ হল। কাবুল থেকে মার্কিন বিমানের উড়ানের ঠিক আগে বিস্ফোরণ। বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। এছাড়া কাবুলের ব্যারন হোটেলের সামনেও বিস্ফোরণ হয়েছে। কিছুক্ষণ আগে ইতালির বিমান লক্ষ্য করে গুলিবৃষ্টি। 


পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি ট্যুইট করে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণের খবর স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না কতজনের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের কাছে যখনই নিশ্চিত খবর আসবে, তখনই আমরা তা জানাব।’


আশঙ্কাই যেন সত্যি হল! সাধারণ আফগান-সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা যখন কাবুল ছাড়তে মরিয়া, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে যখন থিকথিকে ভিড়, ঠিক তখনই ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল বিমানবন্দর চত্বর। তীব্র অস্থিরতার মধ্যেই পরপর বিস্ফোরণ। পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল। 


আশঙ্কা অবশ্য তৈরি হচ্ছিল সকাল থেকেই। অস্ত্র হাতে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে জড়ো হচ্ছিল তালিবান। চরম সতর্কতা জারি করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া। বিকেলে ইতালির একটা বিমান কাবুল বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরই বিমান লক্ষ্য করে উড়ে এসেছিল ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। তারপর থেকেই আচমকা কাবুল বিমানবন্দরের বাইরের পরিস্থিতি থমথমে হতে শুরু করে। ঠিক যেন ঝড়ের আগের নিস্তব্ধতা। কিছু একটা হতে চলেছে। রাত আটটা বাজার আগেই কেঁপে ওঠে কাবুল বিমানবন্দর চত্বর। 


সাধারণ বিমানযাত্রীদের পাশাপাশি ন্যাটোবাহিনীও কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে। মূল প্রবেশপথ ছাড়াও নর্থ গেট, ইস্ট গেট এবং অ্যাবে গেট দিয়ে ঢোকা যায় বিমানবন্দরে। অ্যাবে গেটের কাছেই ব্রিটিশ সেনার একটি ক্যাম্প আছে। ঠিক এর উল্টোদিকে কয়েকটা প্লট পরেই ব্যারন হোটেল। 


অশান্ত কাবুলের এই পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করে নিজের দেশের নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দরের কাছাকাছি না থাকার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।


মার্কিন সেনাকে আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য ৩১ অগাস্ট অবধি ডেডলাইন দিয়েছিল তালিবান। কিন্তু তার পাঁচদিন আগেই কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ঘটে গেল একের পর এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ! কিন্তু এর নেপথ্যে কারা? তালিবান? ক’দিন আগেই বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল আইএস। তাহলে কি বিস্ফোরণের নেপথ্যে আইএস? উদ্দেশ্য কী? তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা। আর এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, এবার কী করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র?