ইসলামাবাদ : মধ্যরাতে পাকিস্তানে (Pakistan Crisis) চূড়ান্ত নাটকীয় পরিস্থিতি। গোটা দেশজুড়ে জারি করা হল লাল সতর্কতা (High Alert)। এই মুহূর্তে পার্লামেন্টের (Pakistan Parliament) বাইরে প্রিজন ভ্যান। মধ্যরাতেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে পাক সুপ্রিম কোর্টে (Pakistan Supreme Court) শুনানি। পাক সুপ্রিম কোর্টের বাইরে মোতায়েন করা হল পাক সেনাকে (Pakistan Force)। মধ্যরাতেই আদালতে গেলেন পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। পার্লামেন্টে ঢোকার মুখে স্পিকারের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের হাতাহাতি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভি সূত্রের খবর। শেষ পাওয়া খবর থেকে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন। আস্থাভোটের ঠিক আগে স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের ইস্তফার জেরে তৈরি হয়েছে নজিরবিহীন পরিস্থিতি।


কী কী নির্দেশ পাকিস্তানে


ইসলামবাদের সমস্ত হাসপাতালে (Hospital) জারি করা হল জরুরি অবস্থা। পাকিস্তানের সমস্ত বিমানবন্দরে (Airport) জারি করা হল অ্যালার্ট (Alert)। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাক পার্লামেন্টে শুরু হবে অধিবেশন। দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমের বিরুদ্ধে একার লড়াই, বিবৃতি ইমরান খানের (Imran Khan)। পাকিস্তান ছাড়তে সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের নিষেধাজ্ঞা।


কেন এই পরিস্থিতি, কোন পথে পাকিস্তান?


বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক যেরকম, তাতে কার্যত অলিখিত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলাই যায়। অনাস্থা প্রস্তাব কোন পথে এগোয় নাকি পাকিস্তানের শাসন-ক্ষমতা সেনার হাতে যায়, এদিকেও নজর রয়েছে অনেকে। এমনিতেই অনাস্থা পরিস্থিতি নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। তবে এই মুহূর্তে সংসদে অনাস্থা প্রসঙ্গে ভোটাভুটি ও সুপ্রিম কোর্টে শুনানি দুই জায়গাতেই ব্যবস্থা চলছে। গোটা পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে তা নিয়ে রয়েছে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা, আর সেই জন্যই জারি গোটা পাকিস্তান জুড়ে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।


ইতিমধ্যেই পাক জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (Pakistan Tehreek-e-Insaf)। তাদের জোটসঙ্গী এমকিউএম-পি হাত মিলিয়েছে বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির সঙ্গে। ফলে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে বিরোধীরাই এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে এই পরিস্থিতিতেও হাল ছাড়তে নারাজ ইমরান খান। লড়াইয়ের বার্তা দিয়েই আজ অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে চলেছেন তিনি।


আরও পড়ুন- পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি, গদি বাঁচবে ইমরান খানের?