লন্ডন: করোনাভাইরাসের (Coronavirus) নতুন প্রজাতি (New Variant) নিয়ে বৃহস্পতিবারই বিশ্বকে সতর্ক করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। আর এরপরই শুরু হয়েছে উদ্বেগ। ব্রিটেন থেকে ভারত, যেসব দেশ এখনও করোনার (Covid-19) বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, এবার নিজেরাই তারা সতর্কতা অবলম্বন করতে শুরু করেছে। ব্রিটেন যেমন ইতিমধ্যেই উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি সেখানে বৃদ্ধি পেয়েছিল কোভিড প্রাদুর্ভাব। প্রশ্ন উঠছে ভ্যাকসিন কার্যকারীতা নিয়েও। 


ব্রিটেনের (Britain) হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি বলেছে যে করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট, যাকে বলা হচ্ছে B.1.1.529- এর একটি স্পাইক প্রোটিন রয়েছে। যা আসল করোনাভাইরাসের থেকে একেবারেই আলাদা। এখন চিন্তা হল কোভিড-১৯ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের চরিত্রের ওপর ভিত্তি করেই করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই ভ্যাকসিন যদি কার্যকর না হয় তবে তা চিন্তার।


এই সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ জেনি হ্যারিস বলেছেন, "এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভ্যারিয়েন্ট। এর সংক্রমণ তীব্র। তবে ভ্যাকসিন-সংবেদনশীলতা সম্পর্কে আরও জানতে জরুরি গবেষণা চলছে।" জানা গিয়েছে করোনার এই নয়া প্রজাতি সংক্রমক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকেও বেশি দ্রুত ছড়াচ্ছে। সে দেশের স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ বলেছেন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মিউটেশনের থেকেও এই ভ্যারিয়েন্টের মিউটেশন দ্রুত হচ্ছে। 


আরও পড়ুন, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল কলকাতা, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.১


সংক্রমণে আরও বেশি শক্তিশালী করোনার নতুন প্রজাতি। এখনও পর্যন্ত ৩টি দেশে মিলেছে করোনার এই নতুন প্রজাতির হদিশ। বৎসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও হংকংয়ে  আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। ইতিমধ্য়েই রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে চিঠি দিল কেন্দ্র । এইসব দেশ থেকে আসা নাগরিকদের উপর বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পর রাখতে হবে নজরদারিতে, এনটাই নির্দেশ কেন্দ্রের।  


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ এক চিঠির মাধ্যমে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে লিখে বলেছেন, ‘‌এই ভ্যারিয়েন্টের উচ্চ সংখ্যার মিউটেশন রয়েছে। তাই দেশের জনস্বাস্থ্যের ওপর তার গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে। যে যাত্রীরা ওই তিন দেশ থেকে আসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। জোর দিতে হবে নজরদারি এবং পরীক্ষায়। তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।'‌