লন্ডন: কাক-পক্ষীও টের পায়নি! জানতেন না ডাউনিং স্ট্রিটের অনেক আধিকারিকও। অত্যন্ত গোপনে ফের বিয়ে করলেন বরিস জনসন। পাত্রী দীর্ঘদিনের বাগদত্তা ক্যারি সাইমন্ডস।
বিয়ের অনুষ্ঠানে ওয়েস্টমিনস্টার ক্যাথিড্রালে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের সদস্য ও গুটিকয়েক বন্ধুবান্ধব। বিয়ের ছবি প্রকাশ করে জানাল ব্রিটেনের প্রধামন্ত্রীর অফিস।
ফলে, লর্ড লিভারপুলের সঙ্গে জুড়ে গেল বরিস জনসনের নাম। প্রায় ২০০ বছর পর পদে থাকাকালীন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন ব্রিটেনের কোনও প্রধানমন্ত্রী।
খবর ছিল, ২০২২ সালের ৩০ জুলাই তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন দুজনে। এই মর্মে ছাপা হয়েছিল ‘সেভ দ্য ডেট’ কার্ড। পাঠানো হয়েছিল সংবাদমাধ্যম সহ সবার কাছে। তার মধ্যেই শনিবার বিকেলে অত্যন্ত গোপনে বিয়ে করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
অতিমারীর কারণে ইংল্যান্ডে বিয়ের অনুষ্ঠানে এখন ৩০ জনের বেশি লোককে আমন্ত্রণ করার অনুমতি নেই। এই প্রেক্ষিতে শনিবার ওয়েস্টমিনস্টার ক্যাথিড্রালে ছোট্ট অনুষ্ঠানে এক হয়েছে ৫৬ বছরের বরিস জনসন ও ৩৩ বছরের ক্যারি সাইমন্ডস-এর চার হাত।
এই বিয়ে ঘিরে এতটাই গোপনীয়তা ছিল যে, ডাউনিং স্ট্রিটের অনেক পদস্থ আধিকারিকই ছিলেন অন্ধকারে। সংবাদ মাধ্যমে বিয়ের খবর প্রকাশিত হতেই শুরু হয় জল্পনা। শেষমেশ, রবিবার বিয়ের কথা স্বীকার করে ছবি প্রকাশ করল প্রধানমন্ত্রীর অফিস।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাউনিং স্ট্রিটের অফিস থেকে প্রকাশ করা হয় হাই প্রোফাইল বিয়ের ছবি। ছবিগুলি তোলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস সংলগ্ন বাগানে।
বরিস জনসনের অফিসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বরিস জনসন ও ক্যারি সাইমন্ডস। দুই পরিবারের সদস্য ও কয়েক জন বন্ধুবান্ধবই উপস্থিত ছিলেন বিয়েতে।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৯ সাল থেকে বান্ধবী ক্যারি সাইমন্ডসকে নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটেই বসবাস শুরু করেন বরিস জনসন।
২০২০ সালে জন্ম নেয় তাঁদের সন্তান। তারপরই সম্পর্ক ও বাগ্দানের কথা প্রকাশ্যে আনেন বরিস ও সাইমন্ডস। এবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তাঁরা।
এই নিয়ে তৃতীয়বার বিয়ে করলেন বরিস জনসন, ক্যারি সাইমন্ডস-এর অবশ্য প্রথম বিয়ে।