নয়াদিল্লি: কিউবা কমিউনিস্ট বিপ্লবের অন্যতম নায়ক চে গুয়েভারার মেয়ের আশঙ্কা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘উন্মত্ততা’ মনুষ্যজাতিকেই না ‘ধ্বংস’ করে দেয়।


চে-র বড় মেয়ে ডক্টর আলেইদা গুয়েভারা মার্চই সাধারণত তাঁর পরিবারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন। তাঁর অভিযোগ, জনশক্তিকে দমিয়ে দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধকে ব্যবহার করছে।

কিউবার রাজধানী হাভানায় একটি সাক্ষাত্কারে আলেইদা বলেছেন, ‘মনুষ্যজাতিকে ধ্বংস করার মতো প্রচুর ক্ষমতা রয়েছে ট্রাম্পের হাতে, এবং আমরা এই মনুষ্যজাতিরই অঙ্গ। এটাই সমস্যা যে, তাঁর হাতে ক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু বিবেকবুদ্ধি নেই’।

আগামী ১০ বছর পর কিউবাকে তিনি কীভাবে দেখছেন, এই প্রশ্নের জবাবে ৫৭ বছরের আলেইদা বলেছেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্টের উন্মত্ততার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে'।

ট্রাম্পের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আমরা বুঝছি না বা আমরা বুঝতে চাইছি না যে, আমাদের বিশ্বকে আমরাই ধ্বংস করছি..সেই ধ্বংসের আগে আমাদের মধ্যে রয়েছে একটা অভাবনীয় আলস্য এবং তাঁর মতো উন্মত্ত ব্যক্তি ক্ষমতায় রয়েছেন, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে’।

আলেইদা বলেছেন, এই অবস্থা থেকে সবাইকে জেগে উঠতে হবে। কারণ, হাতে খুব বেশি সময় নেই।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্টট নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্প ২০১৪-তে প্রেসি়ডেন্ট বারাক ওবামার কিউবার সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন। ওই চুক্তিতে ১৯৬১-তে ছিন্ন হয়ে যাওয়া সম্পর্ক নতুন করে গড়ে তোলার বন্দোবস্ত হয়।

ক্ষমতায় এসেই গত জুনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিউবার সঙ্গে যাতায়াত ও ব্যবসার ক্ষেত্রে নয়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেন।

আলেইদা বলেছেন, এ ধরনে অবরোধে ডায়গনোস্টিকস ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে। কাজেই কিউবাকে বিকল্পের খোঁজ করতে হচ্ছে। চিকিত্সা ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধই কিউবার মৌলিক নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চে-কন্যা ১৯৯৭-এ তাঁর ভারত সফরের স্মৃতিচারণও করেছেন। তাঁকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল সেজন্য ভারতীয়দের ধন্যবাদ জানিয়েছেন আলেইদা। তিনি বলেছেন, আমি কলকাতা, হায়দরাবাদ ও কালিকটে গিয়েছিলাম। ভারতের মানুষের ব্যবহার খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ।