বেজিং: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টোকিও সফরের প্রাক্কালে ভারত ও জাপানকে ‘সতর্ক’ করল চিন। বেজিং জানিয়েছে, দুই রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক থাকতেই পারে, কিন্তু দুজনেরই উচিত প্রতিবেশীর ‘প্রকৃত উদ্বেগকে’ সম্মান করা।
চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লু ক্যাং এদিন বলেন, আমরা চাই, তারা (ভারত ও জাপান) নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুক। কিন্তু, একইসঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উদ্বেগকে সম্মান জানিয়ে উভয়পক্ষের উচিত আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করা।
বেশ কিছুদিন ধরেই জাপানের থেকে ১২টি ইউএস-২ শিনমায়া উভচর বিমান কেনার ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে ভারত। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত কথা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে এই বিষয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে বেজিং। ভারত-জাপান সামরিক চুক্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় চিনা বিদেশ মন্ত্রক জানায়, যে ভাবে ভারতকে কম দামে অস্ত্র বিক্রি করছে জাপান, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
সেদিন বেজিংয়ের তরফে বলা হয়েছিল, দুই দেশ নিজেদের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা যদি করে, তাতে বেজিংয়ের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, কম দামে একে অপরকে সামরিক সরঞ্জাম দিচ্ছে, তা হতাশা ও লজ্জার।
যদিও, এদিন লু ক্যাং জানান, ভারত-জাপান সামরিক সহযোগিতা নিয়ে তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। কারণ, বেজিংয়ের মতে, এই চুক্তির বিষয়টি পুরোটাই জল্পনা।
শুক্রবারই টোকিও পৌঁছছেন মোদী। সেখানে জাপ প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা। পরমাণু জ্বালানি থেকে থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা চুক্তি, বাণিজ্য ও পরিকাঠামো নিয়ে একাধিক চুক্তি হওয়ার কথা।
তার আগে গতকালই, চিনের সরকার-নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস-এর সম্পাদকীয়তে ভারতের উদ্দেশ্যে ‘হুঁশিয়ারি’ দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, দক্ষিণ চিন সাগর বিতর্কে ভারত যদি প্রবেশ করে, তাহলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।
আরও বলা হয়, ভারতের বোঝা উচিত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘বোড়ে’ হয়ে আখেরে তারা নিজেদের ক্ষতিই করছে। এর প্রভাব ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর পড়তে বাধ্য।