বেজিং: কৈলাস মানস সরোবরগামী তীর্থযাত্রীদের তিব্বতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কারণ সীমান্তে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনার ঝামেলা চলছে। আজ এ কথা স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করে নিল বেজিং। এই কারণেই সিকিমের নাথু লা পাসও বন্ধ করে দিয়েছে তারা। বেজিংয়ের দাবি, নিরাপত্তাগত কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জানা গিয়েছে, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়ে কয়েকটি অস্থায়ী সেনা বাঙ্কার ধ্বংস করেছে। যদিও চিনা সেনার অভিযোগ, ভারতই সীমান্তে চিনের রাস্তা তৈরিতে বাধা দিয়ে সমস্যা তৈরি করেছে।

চিনা বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, সে কারণেই নাথু লা পাস বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এক বিবৃতিতে তারা অভিযোগ করেছে, সম্প্রতি ভারতীয় সেনা সিকিম সীমান্ত পেরিয়ে চিনা এলাকায় ঢুকে পড়ে, ডংলং এলাকায় কার্যরত চিনা সেনাকে বাধা দেয়। তাই চিন সেইমত ব্যবস্থা নিয়েছে।

মানস সরোবর মুখী ৪৭ জন তীর্থযাত্রীর প্রথম দলকে ১৯ থেকে ২৩ তারিখের মধ্যে নাথু লায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁরা উত্তরাখণ্ডের পুরনো লিপুলকে-র পথ ধরে মানস সরোবর রওনা দেন। নাথু লার পথটি নতুন, ২০১৫-য় মোদী সরকারের অনুরোধে ওটি খুলে দেয় চিন।

চিনের দাবি, ভারতকে চিনের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তিকে সম্মান করতে হবে, সীমান্ত থেকে নিরাপত্তা আধিকারিকদের সরাতে হবে ও গোটা বিষয়টির তদন্ত করাতে হবে, যাতে সিকিম সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় থাকে।

কোনওরকম প্ররোচনা ছাড়াই ভারত গন্ডগোল শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।

জানা গিয়েছে, চিনা সেনার সীমান্তে একটি রাস্তা নির্মাণ নিয়ে যাবতীয় ঝামেলা শুরু। যদিও চিনের অভিযোগ, নিজেদের এলাকাতেই রাস্তা তৈরি করছে তারা, ভারতের নাক গলানোর অধিকার নেই।

এই প্রথম নয়, লাদাখ সীমান্তে বারবার অনুপ্রবেশ করেছে চিনা সেনা। ২০১৪ ও ২০১৫-য় এমন ঘটনা বারবার ঘটেছে। যদিও গত বছর তুলনামূলকভাবে শান্ত ছিল বলে রিপোর্ট।