এবার গ্লোবাল টাইমসে একটি প্রতিবেদনে সাংহাই অকাদেমী অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের রিসার্চ ফেলো হু ঝিইয়োংকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, চিন ডোকলামে সামরিক উপায় অবলম্বনের চিন্তাভাবনা করছে। হু বলেছেন, ‘ডোকলামে অচলাবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলতে দেবে না চিন।ভারতীয়দের ডোকলাম থেকে হঠাতে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই ছোটখাটো সামরিক অভিযান চালানো হতে পারে’।
চিনের সরকারি দৈনিকে গ্লোবাল টাইমম-এ ওই বিশেষজ্ঞ লিখেছেন, চিনের পক্ষ থেকে আগে থেকেই ওই অভিযান সম্পর্কে ভারতের বিদেশমন্ত্রককে জানানো হবে।
গত ১৬ জুন থেকে ডোকলামে ভারত ও চিনের মধ্যে অচলাবস্থা চলছে। সিকিম সেক্টরে ভারত-ভুটান ও চিন সীমান্তের সংযোগস্থলে ডোকলামে চিনের সেনা রাস্তা নির্মানের চেষ্টা করে।ভুটার চিনের এই চেষ্টার প্রতিবাদ করে। ভুটান দাবি করে, ওই অঞ্চল তাদের। সীমান্ত বিতর্কের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকার স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ব্যাপারে স্বাক্ষরিত সমঝোতা ভঙ্গের অভিযোগও চিনের বিরুদ্ধে করে ভুটান। ভারতীয় সেনা ডোকলামে চিনের রাস্তা তৈরির চেষ্টায় বাধা দেয়।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, দুই পক্ষকেই প্রথমে সেনা সরিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। গত বৃহস্পতিবারও স্বরাজ বলেছেন, যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে না।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে গতকাল বলেছেন, ডোকলাম ইস্যুতে ভুটানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে ভারত।
ভারত এভাবে আলোচনার ওপর গুরুত্ব দিলেও চিনের সংবাদমাধ্যম, বিশেষ করে এই গ্লোবাল টাইমস একের পর এক হুমকি দিয়ে চলেছে।