রাষ্ট্রপুঞ্জ: আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে চিন (India China Relations)। পাকিস্তানি জঙ্গিকে (Pakistani Terrorist) আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা। তাতে দুই দেশেক মধ্য়ে দূরত্ব আরও বাড়ল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল। কারণ এর আগেও একাধিক বার ভারতের প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে তারা। এ বারে আমেরিকা এবং ভারতের তরফে যৌথ ভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাতেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় চিন।


রাষ্ট্রপুঞ্জে ফের ভারতের সঙ্গে সংঘাতে চিন


লস্কর-ই-তৈবার প্রধান, ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের আত্মীয় আবদুল রহমান মাক্কি (Abdul Rehman MAkki)। আমেরিকা ইতিমধ্যেই তাঁকে জঙ্গি ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে মিলে রাষ্ট্রপুঞ্জে (United Nations) মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার যৌথ প্রস্তাব জমা দেয় তারা। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের আইসিস এবং আলকায়দা নিষেধাজ্ঞা কমিটিকে প্রস্তাবটি দেওয়া হয়। কিন্তু শেষমুহূর্তে তা আটকে দেয় চিন।


দিল্লি সূত্রে খবর, আমেরিকার সঙ্গে মিলে যৌথ প্রস্তাব জমা দেওয়া হয় রাষ্ট্রপুঞ্জে। নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ ধারায় আইসিস এবং আলকায়দা ধারার আওতায় জমা দেওয়া হয় আবেদনপত্র। তাঁকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার দাবি জানানো হয়। কিন্তু চিন তাতে ভেটো দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 


এর আগেও পাকিস্তানের জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় ভারতের প্রস্তাবে বারংবার বাধা দিয়েছে চিন।  ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জে কূটনৈতিক ভাবে জয়ী হয় ভারত। দিল্লির আবেদন মেনে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জ।  প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৫টি দেশের মধ্যে স্থায়ী সদস্য হিসেবে একমাত্র চিনই তাতে ভেটো দেয়। 


আরও পড়ুন: Rahul Gandhi on Agnipath Scheme: 'দেশবাসীর চাহিদা বোঝেন না মোদি, শুধু বন্ধুদের কণ্ঠ শুনতে পান,' 'অগ্নিপথ' নিয়ে তীব্র আক্রমণ রাহুলের


২০০৯ সালে ভারত প্রথম ওই প্রস্তাব জমা দেয়। ২০১৬ সালে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের সঙ্গে মিলে নতুন করে প্রস্তাব দেয় ভারত। মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা, তাঁকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার পিছনে মাসুদের হাত ছিল বলে সেই সময় সামনে আসে। ২০১৭ সালে ফের প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। সে বারও ভেটো দেয় চিন। এর পর আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স একটি খসড়া জমা দিয়ে মাসুদকে গ্রেফতারের দাবি জানায়। 


এই মুহূর্তে শুধুমাত্র আমেরিকাই মাক্কিকে 'বিশেষ' জঙ্গি বলে উল্লেখ করে। ২০১০ সালে আমেরিকা তাঁকে জঙ্গি বলে ঘোষণা করে। এর ফলে, মাক্কির সমস্ত সম্পত্তি, সম্পত্তির থেকে আয়, সব কিছু যা যা রাষ্ট্রপুঞ্জের আওতায় পড়ে, সব ব্লক করে দেয়। 


আমেরিকা আগেই মাক্কিকে জঙ্গি ঘোষণা করেছে


২০২০ সালে পাকিস্তানের সন্ত্রাদমন আদালত মাক্কিকে দোষী সাব্য়স্ত করে। সন্ত্রাসী কাজকর্মের একটি ধারা, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত জোগামোর দায়ে দোষী ঘোষিত হন তিনি। এর আগে গ্রেফতার করেও একাধিক জঙ্গিদের মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান। তাই  বর্তমানেও প্রতিপদে মাক্কির খোঁজ রাখে আমেরিকা।