নয়াদিল্লি:  নতুন এক যুদ্ধবিমান এনে বিশ্বকে চমকে দিল চিন। এই স্টেলথ যুদ্ধবিমানের নাম জে-২০। রেডারেও ধরা পড়ে না এই ফাইটার জেট। ভারতের পক্ষে এই বিমান খুবই উদ্বেগের।  এর ওপর চিন্তা বাড়িয়ে এই যুদ্ধবিমান খুব শীঘ্রই পাকিস্তানকে দিতে পারে চিন।
চিনের জে-২০ আমেরিকার কপালেও ভাঁজ ফেলেছে। বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে স্টেলথ যুদ্ধবিমান তৈরি করল চিন। এই যুদ্ধবিমানের মারণ ক্ষমতা অনেক বেশি। বিমানে দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র মোতায়েন করা যায়। এখন শুধুমাত্র আমেরিকার হাতে এ ধরনের স্টেলথ যুদ্ধবিমান রয়েছে।
রাশিয়া ও ভারতের মতো বিভিন্ন দেশ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের স্তরেই রয়েছে। এই বিমানগুলি শত্রুপক্ষের রেডারে ধরা পড়ে। রেডার থেকে পাঠানো তরঙ্গ ওই বিমানগুলিতে পৌঁছয়, সেখান থেকে তা ফিরে আসে রেডারে। ফলে সংশ্লিষ্ট বিমানের অবস্থান, গতি ও উচ্চতা সম্পর্কে জানা যায়।
কিন্তু স্টেলথ বিমানে রেডারের এই প্রযুক্তি কাজ করে না। কারণ, এই বিমান নির্মাণের প্রযুক্তি খুবই গোপন। এই বিমানের বডি গোপন মিশ্র ধাতুতে তৈরি। এর আকারও সাধারণ বিমানের তুলনায় একেবারেই আলাদা। এর ফলে রেডার থেকে পাঠানো তরঙ্গ হয় রাস্তা বদলে অন্য দিকে চলে যায়, নতুবা বিমানের বডির ধাতু ওই তরঙ্গ শুষে নেয়।এর ফলে রেডার এড়িয়ে শত্রুপক্ষের ওপর হামলা চালাতে পারে স্টেলথ যুদ্ধবিমান।
চিনের জি-২০ এই ধরনেরই স্টেলথ বিমান। এর ফলে ভারতের উদ্বেগ বাড়বে।
মার্কিন বায়ুসেনার কাছে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটার, এফ-২২ র‌্যাপটর এবং বি-২২ স্পিরিট বম্বার বিমান রয়েছে। এবার এ ধরনের প্রযুক্তির বিমান তৈরি করে ফেলল চিনও।
চিন স্টেলথ বিমান তৈরি করেছে, এটাই শুধু ভারতের কাছে চিন্তার বিষয় নয়। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, পাকিস্তান এই বিমান চিনের কাছে কিনতে চলেছে। ফলে পাক বায়ুসেনা এই স্টেলথ বিমান হাতে পেয়ে যেতে পারে। জানা গেছে, পাকিস্তান এই যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার চিনের বৃহত্তম এয়ার শোয়ে এই ফাইটার জেট জে-২০ কে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। ঝুহাই শহরের যে এয়ার শো-এ  জে-২০ উড়ল সেই শো-য়ে অংশ নিয়েছিল পাক বায়ুসেনাও।
এখন প্রশ্ন চিনের এই যুদ্ধবিমানের পাল্টা কোনও বিমান ভারতের রয়েছে? জানা গেছে, হিন্দুস্তান এরোনোটিক্স লিমি়টেড দেশীয় প্রযুক্তিতে স্টেলথ ফাইটার তৈরির কাজ করছে। ২০২৩-২৪ নাগাদ প্রথমবার এর পরীক্ষামূলক উড়ান হতে পারে। অর্থাত্ ভারতের বায়ুসেনার হাতে আসতে আরও অনেকটাই সময় লাগবে। এছাড়াও ভারত ও রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে ফিফ্থ জেনারেশন ফাইটার এয়ারক্র্যাফ্ট (এফজিএফএ) তৈরির কাজ করছে।