বেজিং: ডোকালাম সংঘাত নিয়ে ফের সুর চড়াল চিন।
বুধবার, সরকার পরিচালিত চিনা সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত যদি ডোকালাম থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করেও নেয়, তাহলেও চিন চুপ থাকবে না।
চিনের সামরিক বিশেষজ্ঞ তথা চিনা নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল শু গুয়াংয়ুকে উদ্ধৃত করে গ্লোবাল টাইমসে লেখা হয়েছে, সেনা প্রত্যাহার কেবল এক শর্ত মাত্র, কোনও সমাধান নয়। চিনের অনুরোধে ভারত যদিই বা সেনা প্রত্যাহার করে, তাহলেও তাদের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের ফল ভোগ করতে হবে।
গুয়াংয়ু যোগ করেন, ভারত যদি চিনা ভূখণ্ডে বাহিনী রেখে দেয়, তাহলে চিনের বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভারতকে সম্ভবত সেপ্টেম্বরের আগেই চূড়ান্ত বার্তা দেবে। সেখানে সাফ ভারত ও বাকি বিশ্বকে বলে দেওয়া হবে যে, বাহিনী প্রত্যাহার করার জন্য ভারতকে একটা নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হচ্ছে।
গুয়াংয়ুর হুঁশিয়ারি, ভারত যদি সেই সময়সীমার মধ্যে বাহিনী প্রত্যাহার না করে, যদি ভারতীয় ফৌজ তারপরও চিনা ভূখণ্ডে থেকে যায়, তাহলে পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী হবে ভারতই। এই প্রসঙ্গে, দুদেশের সামরিক শক্তির তুল্যমূল্য বিচার টেনে আনেন গুয়াংয়ু। বলেন, সামরিক বিচারে ভারতের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী চিন।
গুয়াংয়ু জানান, ভারতকে তাদের নিজ ভূখণ্ডে ফেরত পাঠানোর জন্য একাদিক উপায় রয়েছে চিনের। তাঁর দাবি, ভারতের কয়েক ডজন জওয়ান ও একটি বুলডোজার চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির কাছে কিছুই নয়।
এমনকী, যে কোনও পরিস্থিতির জন্য চিনা সেনার প্রস্তুত থাকা উচিত বলেও মনে করেন তিনি। গুয়াংয়ু বলেন, যদি ভারত বাধা দেয়, তাহলে রক্ত ঝরবে। তাই, সামরিক সংঘাতের জন্য তৈরি থাকা উচিত চিনের।
প্রসঙ্গত, গত দুমাস, ধরে ভূটান-ভারত-চিন সীমান্তের কাছে সিকিমে ডোকালাম অঞ্চলের আধিপত্য নিয়ে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বেজিংয়ের দাবি, জায়গাটি তাদের। অন্যদিকে, ভারতের দাবি, জায়গাটি ভূটানের।
আগামী মাসেই বেজিংয়ে বসছে ব্রিকস সম্মেলন। সেখানে দ্বিপাক্ষিক স্তরে সম্ভবত ডোকালাম নিয়ে বিস্তর আলোচনা হবে দুদেশের। যদিও, সেখানে সমাধান নিয়ে সন্দিহান গুয়াংয়ু। বলেন, ব্রিকস সম্মেলনে অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে এই সংঘাতের সমাধানসূত্র বের হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ক্ষীণ।