নয়াদিল্লি: প্রাণঘাতী নোভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিরোধক তৈরির চেষ্টায় আরও এক তাত্পর্য্যপূর্ণ অগ্রগতি। চিনের বিজ্ঞানীদের দাবি, কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে দেশের প্রথম ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছে যে, বেজিংয়ের সিনোভ্যাক বায়োটেক একটি ইনঅ্যাক্টিভেটেট কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন, পিকোভ্যাক-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আশাপ্রদ ফল পাওয়া গিয়েছে। এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বিশেষ প্রজাতির ভারতীয় বানরকে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারে।

পরীক্ষায় গবেষকরা এই ভ্যাকসিন বাঁদরদের শরীরে ইঞ্জেক্ট করেন। এতে তিন সপ্তাহ পর বাঁদরগুলি সার্স-কোভ-২ আক্রান্ত হয়, যা কোভিড-১৯-এর কারণ। সায়েন্স ম্যাগাজিনে জানানো হয়েছে যে, ভ্যাকসিনের ফলে ওই বাঁদরদের শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এই অ্যান্টিবডিগুলি সাধারণ ভাইরাসগুলির ওপরও প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন যে,  যে বাঁদরদের শরীরে পিকোভ্যাক-এর সবচেয়ে বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ফুসফুসে এক সপ্তাহ পর ভাইরাস ছিল না। অন্যদিকে, যে বাঁদরদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, তাদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে এবং তারা গুরুতর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চিন এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকেই মানব শরীরে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করছে। সম্প্রতি চিনের একটি সামরিক প্রতিষ্ঠানের তৈরি অন্য এক ভ্যাকসিন মানব শরীরে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এরইমধ্যে সম্প্রতি ইতালি ও ইসরায়েল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে সাফল্যের দাবি জানিয়েছে।