বেজিং: চিনে গত ছয় সপ্তাহে একদিনে সবচেয়ে বেশি বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বিদেশ ফেরত আক্রান্তদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই চিনে গত রবিবার ১০৮ টি নতুন সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। আগের দিন শনিবার এই সংখ্যা ছিল ৯৯। রবিবার এই সংখ্যা আরও কিছুটা বেড়েছে, যা গত ছয় সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি। এর আগে গত ৫ মার্চ সবচেয়ে বেশি ১৪৩ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছিল। এরফলে চিনকে কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ রোধের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
চিনের মূল ভূখণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮২,১৬০। মৃত্যু বেড়েছে আরও দুই। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৩,৩৪১।
ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন সোমবার জানিয়েছে যে, অন্য দেশ থেকে আসা নতুন করে ৯৮ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। লক্ষ্মণহীন সংক্রমণের ঘটনা আগের দিনের ৬৩ থেকে কমে হয়েছে ৬১।
গত ফেব্রুয়ারিতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। তারপর থেকে সংখ্যা কমতে শুরু করে। গত ১২ মার্চ যা সবচেয়ে কম ছিল। এরইমধ্যে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই অতি সংক্রামক ভাইরাস। এখন বিদেশ ফেরত আক্রান্তদের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ ছডিয়ে পড়তে পরার আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বেজিংয়ের। এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকে দেওয়াই তাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ।
চিনের উত্তর-পূর্বে রাশিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন হেইলংজিয়াং প্রদেশে ৫৬ টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৯ জন রাশিয়া ফেরত।
রাশিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন শহরগুলি রবিবার জানিয়েছে যে, সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ও দেশে প্রবেশের পর কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হবে। হেইলংজিয়াংয়ের সীমান্তবর্তী শহর সপইফেনদে ও হারবিনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, বিদেশ ফেরতদের ২৮ জিন কোয়ারিন্টেনে থাকতে হবে। সেইসঙ্গে হবে নিউক্লেইক অ্যাসিড ও অ্যান্টিবডি টেস্ট।
যে সব আবাসনে আক্রান্ত ও লক্ষ্মণহীন করোনা সংক্রমণের খবর পাওযা গেলে সেগুলি ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করা হবে বলে হারবিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।