সেনার যে ব্রিগেডের তরফে এই লাইভ-ফায়ার ড্রিলটি পরিচালনা করা হয়, সেটি পিএলএ-র তিব্বত মিলিটারি কম্যান্ডের অন্তর্গত। পিএলএ তিব্বত কম্যান্ড মূলত ভারত-চিন সীমান্তের পাহারায় রয়েছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্রের মধ্যম এবং নিম্ন অংশের নজরদারির দায়িত্বও রয়েছে এই বাহিনীর ওপর।
লাইভ-ফায়ার ড্রিলে সাধারণত কত তাড়াতাড়ি সেনা পাঠানো যায়, কীভাবে একটি যৌথ আক্রমণ চালানোর সময় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট একসঙ্গে কাজ করতে পারে সেটারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় লাইভ-ফায়ার ড্রিলে। এই ড্রিলের একটি ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছে। সেখানেই চিনা সেনাবাহিনী কীভাবে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গ্রেনেড, বাঙ্কার বা হাউইত্জারের সামনে মিসাইল ব্যবহার করবে, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শত্রুবিমানকে চিহ্নিত করে কীভাবে সেটা ধ্বংস করা যায় সে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে এই ড্রিলে। টানা এগারো ঘণ্টা ধরে চলেছে এই লাইভ ফায়ার ড্রিল।
এছাড়া, গত জুলাইয়ে তিব্বতের রাজধানী লাসায় সেখানকার মোবাইল কমিউনিকেশন এজেন্সি একটি ড্রিল পরিচালনা করে। সেই ড্রিলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, কীভাবে জরুরি পরিস্থিতিতে সাময়িক মোবাইল নেটওয়ার্ক তৈরি করে, যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখা যায়।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ডোকালাম এলাকা নিয়ে ভারত-চিন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে এই লাইভ-ফায়ার ড্রিল চালানো যথেষ্ট উদ্বেগের, মত বিশেষজ্ঞমহলের। মূলত ডোকালাম এলাকায়, ভারত সেনা ঢুকিয়ে চিনের রাস্তার নির্মাণের কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। এদিকে চিনের দাবি, এখনই সেখান থেকে ভারতীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। তবে সেনা না সরানোর সিদ্ধান্তে আপাতত অনড় নয়াদিল্লি।