গাজা : ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও থামছে না যুদ্ধ। প্যালেস্তাইন-ইজরায়েলের রকেট যুদ্ধে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজা। যেখানে মৃতের সংখ্যা ৬৫ ছুঁয়েছে। পাল্টা জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের রকেট হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ইজরায়েলের ৭জন।


বুধবার ভোর-রাত থেকে ফের উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় প্যালেস্তাইন-ইজরায়েলের মধ্যে। প্যালেস্তাইন থেকে ইজরায়েলের তেল আভিভের দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট বোমা আছড়ে পড়ে। পাল্টা হামালা চালায় ইজরায়েল। অনেক বছর পর এই ভয়বাহ হামলার সাক্ষী থাকল গাজা। আল জাজিরার রিপোর্ট বলছে, গাজা ভূখণ্ডে লাগাতার রকেট হানা চালিয়েছে ইজরায়েল। যাতে মৃত্যু হয়েছে হামাসের গাজার সিটি কমান্ডার বসিম ইসার। একই হানায় মৃত্যু হয়েছে হামাসের বেশ কিছু সিনিয়র সদস্যের। খোদ এই খবর নিশ্চিত করেছে হামাস গোষ্ঠী।


গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, রকেট হানায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৬৫জন প্যালেস্তিনির। যার মধ্যে ১৬ জন শিশু ছাড়াও ৫ জন মহিলা রয়েছেন। হামলার তাণ্ডবে আহত হয়েছেন ৩৬৫ জন। আহতদের মধ্যে ৮৬ শিশু ছাড়াও ৩৯ জন মহিলা রয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 'দ্য টাইমস অফ ইজরায়েল'- এর খবর অনুযায়ী, বুধবার রাতে ফের তেল আভিভে রকেট হামলা চালায় গাজা। শহরের দক্ষিণে একের পর একে রকেট হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইজরায়েল। রাতের এই রকেট হানায় পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যুর পাশাপাশি কমপক্ষে ২০ জন ইজরায়েলি আহত হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রকেটের শার্পনেল জানলার কাচ ভেঙে ওই শিশুর গায়ে লাগে। আহত হন শিশুর মা। কিছু ঘণ্টা পরই মারা যায় পাঁচ বছরের ওই শিশু।


ওই শিশুর মৃত্যুকে ধরে গাজার হামলায় ইজরায়েলের ৭ জনের মৃত্যু হল। যার মধ্যে ৫ জন ইজরায়েলি নাগরিক বাদে একজন ভারতীয় ও আইডিএফ সেনার মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৮০টা রকেট হানা হয়েছে ইজরায়েলে। যার জবাবে গাজা ভূখণ্ডে ৫০০ রকেট হানা চালায় তারা। হামাসের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে হামলা চালানো হয় অস্ত্রাগারে। এদিকে, তেল আভিভ থেকে রকেট হানার সাইরেন নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে খোদ শহরবাসীর মনে। এখন কেবল যুদ্ধবিরতির দিন গুনছেন তাঁরা।