বেজিং: ভারতে করোনার চতুর্থ (COVID Fourth Wave) ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত আপাতত নেই। কিন্তু পড়শি দেশ চিনের (Coronavirus in China) পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে সেখানে। করোনার অতি সংক্রামক রূপ ওমিক্রন (COVID Variant Omicron) থেকেই নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
দেশের উত্তর-পূর্বের চাংচুনেই সংক্রমণের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি এই মুহূর্তে। প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষের বাস সেখানে। বিপদ এড়াতে তাই আগেভাগেই সেখানে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতি দু’দিন অন্তর খাবার এবং নিত্য প্রয়োজনের জিনিস কিনতে পরিবারের এক জন সদস্যেরই বেরনোর অনুমতি রয়েছে।
একই সঙ্গে চাংচুনে তিন দফায় করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অর্থাৎ এক বার, দু’বার নয়, তিন তিন বার করোনা পরীক্ষা করাতে হবে প্রত্যেক নাগরিককে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া আপাতত অন্য সব ব্যবসা, পরিবহণ বন্ধ রাখা হয়েছে সেখানে। স্কুল, সরকারি-বেসরকারি দফতর বন্ধ রাখা হয়েছে শাংহাইয়ে। সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী জিলিনেও।
শুধু তাই নয়, গত দু’বছরে এই প্রথম সেখানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (Rapid Antigen Test) শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হেলথ কমিশন। শুক্রবার চিনে নতুন করে ১ হাজারের বেশি মানুষ কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন, দু’বছর পর দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে যা সর্বোচ্চ। এর মধ্যে দেশের মধ্যে পরস্পরের থেকে সংক্রমিত হয়েছেন ৭০০-র বেশি মানুষ। প্রায় ৪০০ জনের মধ্যে সংক্রমণের উপসর্গ দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Defence Ministry Update: পাকিস্তানে আছড়ে পড়ল ভারতের মিসাইল ! কী বলল দিল্লি
সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আপাতত জিলিনের এগ্রিকালচারাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির আধিকারিকদের বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, ক্যাম্পাসে গোষ্ঠী সংক্রমণের খবর থাকা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেননি তাঁরা। বরং গ্রন্থাগার-সহ ক্লাসরুমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সকলকে থাকতে বাধ্য করা হয়।
ওই ক্যাম্পাস থেকে ৭৪ জনের মধ্যে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার জনকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারান্টিনে। দেশের পূর্বের ইউচেং শহরেও লকডাউ ঘোষণা করা হয়েছে।