নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ৬৫ বছরের বোলসোনারোকে তাঁর সাপ্তাহিক ফেসবুক লাইভ পোস্টে দেখা যায়। তাঁকে সুস্থই দেখিয়েছে। অন্যবার তাঁর সঙ্গে থাকেন মন্ত্রী ও পদস্থ অধিকারিকরা। এবার অবশ্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁদের দেখা যায়নি। ছিলেন না সাংকেতিক ভাষার অনুবাদকও।
শুরু থেকেই ব্রাজিলের চরম দক্ষিণপন্থী প্রেসিডেন্ট অতিমারির গুরুত্বকে খাটো করে দেখিয়েছেন এবং ব্রাজিলের প্রদেশগুলিতে জারি বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থার সমালোচনা করে এসেছেন।
বোলসোনারো বলেছেন, গত সপ্তাহে অসুস্থ বোধ করার পর তিনি প্রত্যেকদিন একটি করে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট থেকে শুরু করেন।
ম্যালেরিয়ার চিকিত্সায় ব্যবহৃত এই ওষুধ বহু দেশেই কোভিড-১৯ চিকিত্সার কাজে ব্যবহারের কথা বলা হয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত করোনাভাইরাস চিকিত্সায় এর কার্যকারিতা প্রমাণ হয়নি এবং এর ব্যবহার নিয়ে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী মহলে মতবিরোধ রয়েছে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট অবশ্য এই ওষুধের পক্ষে জোরাল সওয়াল করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি স্পষ্টভাবে এই কথা বলছি। আমি হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করেছে এবং এতে কাজ হয়েছে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। এর যারা সমালোচনা করছেন, তাঁরা অনন্ত একটা কোনও বিকল্পের কথা বলুন।
তবে হাইড্রোক্সোক্লোরোকুইন নিয়ে চিনি প্রচার করছেন না বলেও জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট।
করোনা সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল। প্রথম স্থানে আমেরিকা। ব্রাজিলে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৬৯,১৮৪।