বেজিং: ঊর্ধ্বগামী কোভিড গ্রাফের মধ্যেই সামনে এল কোভিড মৃত্যুর খবর। গত এক বছরে এই প্রথম কোভিড মৃত্যু হল চিনে। শনিবার কোভিডে মৃত্যুর ঘটনার কথা স্বীকার করেছে চিন। সেদেশের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের (National Health Commission) ওয়েবসাইটে মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।


চিনের উত্তর-পূর্বে জিলিন প্রদেশে দুটি কোভিড মৃত্যু হয়েছে। এই এলাকা উত্তর কোরিয়া (north korea) এবং রাশিয়ার (russia) সীমান্তবর্তী এলাকা। চিনের মোট সংক্রমণের দুই তৃতীয়াংশ ওই প্রদেশেই রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই চিনে (china) বাড়ছে কোভিড (covid) সংক্রমণ। পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক এলাকায় লকডাউন করেছে পুলিশ প্রশাসন। জিলিন ছাড়াও দক্ষিণ পূর্ব এলাকার ফুজিয়ান এবং দক্ষিণ চিনের গুয়াংডং এলাকায় কোভিড প্রকোপ বাড়ছে। বেজিং জানিয়েছে, বেশ কিছু প্রদেশে সংক্রমণের হারও বেশি।  ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বলেছে যে ২০২০ এর পর সর্বোচ্চ এই আক্রান্তের সংখ্যা। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হল জিলিন প্রদেশ। ইতিমধ্যেই সেখানে একাধিক এলাকায় লকডাউন হয়েছে। চিনে মার্চের প্রথম দুই সপ্তাহে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা সংক্রমণ রিপোর্ট করেছে। তবে এই প্রাদুর্ভাবে নতুন করে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। বেজিং, সাংহাই, শিয়ানজেন এর মতো শহরেও প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গিয়েছে। জিলিনের বাসিন্দাদের সেই প্রদেশ ছেড়ে অন্যান্য শহরগুলিতে ভ্রমণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।  


চিন, হংকং এবং আরও কিছু দেশে নতুন করে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। যদিও এখনও সেটা কতটা বিপজ্জনক তা স্পষ্ট হয়নি। জার্মানি (germany), ফ্রান্স, ব্রিটেনে ফের বাড়ছে করোনা। প্রতিটি দেশটিকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (world health organization) প্রধান। তিনি সাফ জানিয়েছেন যে এখনও অতিমারি শেষ হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালিতেও বেড়েছে কোভিড। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জুড়ে ফের বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ গ্রাফ। চিন ও হংকংয়েও প্রবলবেগে বাড়ছে করোনা। ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি বলেছে ইউনিয়নের দেশগুলি বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কদিন আগে ইজরায়েলে (israel) মিলেছে নয়া করোনা ভ্যারিয়েন্ট। যা নিয়েও বাড়ছে চিন্তা। 


আরও পড়ুন: সবথেকে হাসিখুশি কোন দেশ? কোন দেশই বা একেবারে নিচে, প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট