নয়াদিল্লি: নিরাপত্তার খোঁজে ভারতে আশ্রয় চাইতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। ভেবেছিলেন, এখানে জান, মান, ধর্মের নিরাপত্তা মিলবে। কিন্তু এ দেশ তাঁদের ঠাঁই দেয়নি। উল্টে ফিরে যেতে বাধ্য করেছে পাকিস্তানে, যে দেশ তাঁরা ছাড়তে চেয়েছিলেন।


মারাত্মক সংকটে পড়েছেন পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হিন্দু বাসিন্দারা। সীমান্তবর্তী এলাকার এই মানুষগুলো ভারতে এসেছিলেন আশ্রয়ের খোঁজে। কিন্তু না প্রশাসন, না সিআইডি- কেউ তাঁদের এ দেশে থাকতে দেয়নি। ফেরত পাঠিয়েছে পাকিস্তানে। অভিযোগ, এবার সেখানে ফেরার পর তাঁদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে, ইসলাম গ্রহণ করতে হবে। নাহলে মহিলা সহ পরিবারের সদস্যদের বাঁচানো যাবে না। রাজি না হলে চলছে নির্মম অত্যাচার।

যেমন সিন্ধু প্রদেশের মাতালি গ্রাম। সীমান্ত এলাকার এই গ্রামে আগামীকাল ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য হতে চলেছেন ৫০০-র বেশি হিন্দু। গত ২ বছরে হাজারের মত পাক হিন্দু রাজস্থানের যোধপুরে আশ্রয় চাইতে এসেছিলেন। কিন্তু ৯৬৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে জোর করে। এঁদেরই একজন চাণ্ডু ভীল। সিআইডি তাঁকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে চায় দেখে তিনি রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। স্পেশাল বেঞ্চ তাঁর ফেরত যাওয়ার নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশও দেয়। কিন্তু তার আগেই সিআইডি জোর করে পাকিস্তানে ফিরে যেতে বাধ্য করে তাঁর গোটা পরিবারকে। এবার পাকিস্তানে তাঁদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে, ইসলাম গ্রহণ করতে হবে। এমন বহু পরিবার পাকিস্তানে বৈষম্যের শিকার হয়ে এ দেশে এসেছিল। ফের যেতে বাধ্য করা হয়েছে তাদের। আর ধর্ম বদলানোর চাপের জেরে পাকিস্তানের বহু গ্রামে হিন্দু সংখ্যা শূন্যে এসে দাঁড়াতে চলেছে।

পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য কাজ করা সীমান্ত লোক সংগঠন জানাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলিতে এই ঘটনা হয়ে চলেছে। কেন্দ্র অন্য দেশ থেকে আসা নির্যাতিত হিন্দুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলেও জেলা স্তরে তা মেনে চলা হচ্ছে না। ও দেশ থেকে আশ্রয়ের জন্য যাঁরা আসছেন, বাড়ানো হচ্ছে না তাঁদের ভিসা। মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেই গায়ের জোরে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।