ঢাকা: খতম গুলশন কাফে হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরি। শনিবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার একটি বাড়িতে হানা দিয়ে তামিম সহ ৩ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। তবে অন্য ২ জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।


পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাড়িতে জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে এদিন ভোরে বাড়িটি ঘিরে ফেলে তারা। পুলিশ বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে জঙ্গিরা ভেতর থেকে গুলি চালাতে শুরু করে। শেষমেষ গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারায় ৩ জঙ্গি। এদের মধ্যেই সনাক্ত করা হয় তামিম চৌধুরিকে। এর আগে ২৬ জুলাই ঢাকার কল্যাণপুরে আর এক জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে পুলিশ ৯ জঙ্গিকে খতম করে।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম কাফে হামলার মাস্টারমাইন্ড। তাকে গ্রেফতারে সাহায্য করলে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কাফে হামলার জঙ্গিদের গুলশনের ফ্ল্যাট থেকে সে-ই ওই কাফেতে পৌঁছে দেয়। তারপরই এলাকা ছাড়ে সে। ওই হামলায় ১৭জন বিদেশি সহ প্রাণ হারান ২২জন। এছাড়াও ইদের দিনে শোলাকিয়া এলাকায় ৪জনের মৃত্যুর ঘটনাতেও সে জড়িত ছিল। কল্যাণপুরে মৃত জঙ্গিদেরও ‘মেন্টর’ ছিল সে। কল্যাণপুরে তাদের ফ্ল্যাটে নিয়মিত আসত তামিম। কীভাবে হামলা চালাতে হবে তা বাতলে দিত, উৎসাহমূলক বক্তৃতাও দিত নিয়মিত। এছাড়াও অর্থ সাহায্য, অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ- সবই সরবরাহ করত সে। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওযারও কাজ করত এই তামিম।