ঢাকা:  ২০১৬ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানে এক ক্যাফের মধ্যে যে জঘন্য হত্যালীলা চলেছিল, সেই হামলার মূল চক্রীর মৃত্যু পুলিশের গুলিতে। পুলিশ সূত্রে খবর, আজ ভোর রাতে এক তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ঢাকা হামলার মূল চক্রীর। গত বছরের সেই হামলায় মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল, তার মধ্যে একজন ভারতীয় ছিল।


প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাইয়ের শুরুতে ১ তারিখ মধ্যরাতে আচমকা গুলশান এলাকার হোলি আর্টিসান নামের এক বেকারির মধ্যে ঢুকে পড়ে জঙ্গিদের একটি দল। সেই হামলার দায় পরে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী স্বীকার করে নিলেও, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয় এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে জামাত-উল-মুজাহিদিন।

সেই নিও জামাত-উল-মুজাহিদিনেরই নেতা নুরুল ইসলাম ওরফে মার্জান এবং এক অজ্ঞাতপরিচয়ের জঙ্গিকে আজ ভোররাতে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় খতম করে পুলিশ। পিটিআই সূত্রে খবর, আজকের ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার মহম্মদপুরের বেরিবাধ এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গত জুলাইয়ে মার্জানই মূলত ঢাকা হামলার পরিচালনার নেপথ্যে ছিল। মার্জানই ছিল নিও জেএমবি গোষ্ঠীর সবচেয়ে কনিষ্ঠতম নেতা।

গত বছর জুলাই মাসের ১ তারিখ মধ্যরাতে গুলশান এলাকার হোলি আর্টিসান বেকারিত পাঁচ জঙ্গি ঢুকে বহু মানুষকে বন্দি করে ফেলে। এর বেশ কিছুক্ষণ পর বেকারিতে সেনাবাহিনী ঢুকে হামলাকারীদের খতম করে। পরে জানা যায় হামলাকারীরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের বাসিন্দা। সেদিন রাতে সেনাবাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে টানা এগারো ঘন্টা গুলির লড়াই চলেছিল। অবশেষে ক্যাফেকে জঙ্গি মুক্ত করা সম্ভব হয়। ওই হামলায় দুই নিরাপত্তাকর্মীরও মৃত্যু হয়।

ওই হামলায় একমাত্র ভারতীয় যিনি মারা গিয়েছিলেন, তাঁর নাম ছিল তারিশি জৈনি। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। সেদিনের হামলায় বহু ইতালিয় এবং জাপানি পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম জঙ্গি হামলা হিসেবে থেকে গেছে এই হামলার ঘটনাটি।