ঢাকা: জঙ্গি হামলার সতর্কতা মেলা সত্ত্বেও তাকে গুরুত্ব দেয়নি বাংলাদেশ পুলিশ। এমনই তথ্য উঠে এল সেদেশের সরকারের প্রাথমিক রিপোর্টে।


হামলার পর ঢাকা পুলিশ স্টেশনে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে জঙ্গি মোকাবিলায় কিছুটা গড়িমসি করেছিল বাংলাদেশের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি। ওই রিপোর্টে বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের সাক্ষাৎকার ও বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাতেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকত তথ্য।

সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম জানিয়েছেন, এমন ভয়াবহ হামলা বাংলাদেশে প্রথম হয়েছে। ফলত, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কেউ তৈরি ছিল না। প্রথমদিকে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ঘটনার গুরুত্বই বুঝতে পারেনি।

এমনও অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে হামলার আশঙ্কার কথা বলা হলেও, তাকে গুরুত্বই দেয়নি নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি। ইমাম জানিয়েছেন, পুলিশের ধারনা ছিল, জঙ্গি হামলা হলে তা মূলত দূতাবাস এবং বড় হোটেল-রেস্তোরাঁয় সীমাবদ্ধ থাকবে।

তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে ওয়েস্টিন হোটেল সহ তার সংলগ্ন অন্যান্য বড়বড় হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলিকে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। কিন্তু, জঙ্গিরা টার্গেট করে  হোলি আর্টিসান বেকারিকে – যা ওয়েস্টিন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পুলিশ ভাবতেই পারেনি, জঙ্গিরা এই জায়গাকে টার্গেট করতে পারে। ইমামের মতে, এটা গোয়েন্দা-ব্যর্থতা কি না, তা তদন্ত করে দেখতে হবে।

এদিকে, জঙ্গিদের সংখ্যা নিয়েও একটা ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। শনিবার পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে যারা মারা যায়, তাদের মধ্যে ওই রেস্তোরাঁর এক শ্যেফ ছিল বলে উঠে এসেছে। সঈফুল ইসলাম চৌকিদার নামে ওই ব্যক্তি হোলি আর্টিসানে পিৎজা বানাতেন বলে জানা গিয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, চৌকিদার সম্ভবত হামলায় জড়িত ছিলেন না। সম্ভবত তাঁকে ভুল করে জঙ্গি ভেবে মারা হয়েছে। এই নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।