আর্জেন্তিনায় এমনই ভয়াবহ একটি ঘটনা ঘটেছে। অপরিণত একটি শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে তার ধড় মাতৃগর্ভ থেকে ছিঁড়ে বার করেছেন চিকিৎসকরা। মাথা রয়ে গিয়েছে তখনও মায়ের শরীরে। তারপর স্বাভাবিকভাবে বেরিয়ে এসেছে সেটি।
জানা গিয়েছে, শিশুটির জন্মের সময় সে শরীরের ভেতরে আটকে যায়। তাকে বার করতে চিকিৎসকরা এমন সজোরে টান দেন, যে ছিঁড়ে আলাদা হয়ে যায় কচি মাথা। গর্ভ যন্ত্রণায় ভুগতে ভুগতে প্রসূতি দেখেন, চিকিৎসকের হাতে রয়েছে তাঁর শিশুর মুণ্ডহীন দেহ।
সন্তান হারানো দুই তরুণ তরুণী হাসপাতালের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।
প্রসূতি বলেছেন, তিনি জানতেন, ডেলিভারির সময় তাঁর সন্তান বেঁচে রয়েছে, তাঁর ইকো টেস্ট হয়, তখন তাঁর স্বামীও শিশুর হৃদস্পন্দন শুনেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসক না ধাত্রী- কে শিশুটিকে পৃথিবীতে আনার চেষ্টা করছিলেন, তা জানেন না তিনি।
মহিলা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক পেটের ভেতর শিশুটিকে ঘোরাচ্ছিলেন, টানাটানি করছিলেন, তাতে তাঁর খুব যন্ত্রণা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি সে কথা বললেও কেউ তাতে কান দেয়নি। যখন দুর্ঘটনাটি ঘটল, তখন চিকিৎসকরা স্রেফ তাঁকে বলে দেন, বাচ্চার মাথা শরীরের ভেতরেই রয়ে গিয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, তদন্তে সহযোগিতা করবে তারা। তবে অবহেলা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোনও চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হবে না বলে তারা জানিয়েছে।